কলকাতা: ২০২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র শুভ্রাংশু সর্দার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। সে যে ভালো ফলের আশা করেছিল তা স্বাভাবিক। কিন্তু এই দুর্দান্ত ফলের পিছনে অবদান কাদের, সেই প্রশ্নের উত্তরে শুভ্রাংশু এমন উত্তর দিল যা হয়তো অনেকেই দেয় না বা দিতে চায় না। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী স্পষ্ট জানাল, এই সাফল্যের জন্য সবথেকে বেশি অবদান তারই।
সংবাদমাধ্যমে শীর্ষ স্থানাধিকারী জানিয়েছে, সে মোটামুটি দিনে ৪ ঘণ্টা মতো পড়াশুনা করত, কখনও কখনও তার থেকে কিছুটা বেশি। কিন্তু কখনই সে ১৪-১৫ ঘণ্টা পড়েনি। কিন্তু ওই ৪ ঘণ্টার কম পড়াশুনাও সে করেনি। তার কথায়, এত বড় পরীক্ষার জন্য এর থেকে কম সময় পড়া উচিত নয়। যারা আগামী দিনে পরীক্ষা দেবে তাদের এটাই খেয়াল রাখার উচিত। এরপরই সাফল্যের অবদান প্রসঙ্গে সে বলে, স্কুলের অবদান নতুন করে কিছু বলার নেই। স্কুল ছাত্রদের যা বানায় তা নিয়ে আলাদা কিছু বলার দরকার পড়ে না। তবে এই সাফল্যের জন্য সবথেকে বেশি অবদান তার, কারণ পরীক্ষা তাকেই দিতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত স্কুল, তৃতীয়ত বাবা-মা এবং বাকিরা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”গঙ্গারামকেও হার মানালেন! মাধ্যমিকে ৪৬ বার ফেল করেও হার মানেননি বৃদ্ধ” width=”560″>
এই স্কুল থেকে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন শুভ্রাংশু সর্দার। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন নরেন্দ্রপুরের আরেক ছাত্র নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। ষষ্ঠ হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অর্কদীপ ঘরা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১৷ ৪৯০ নম্বর পেয়ে ওই স্কুল থেকেই যুগ্ম সপ্তম হয়েছেন বিতান শাসমল, অর্ক ঘোষ এবং অভিরূপ পাল। ৪৮৯ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম স্থানে রয়েছেন নরেন্দ্রপুরের সৈয়দ সাকরাইন কবীর। ৪৮৮ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে নবম সায়ন সাহা এবং অর্কপ্রতিম দে।