নয়াদিল্লি: আরও জটিল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার জট৷ ইউজিসির পর এবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ফাইনাল সেমিস্টার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি৷ যদিও রাজ্যের তরফে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় নম্বর দেওয়ার বিধি ঘোষণা পর কেন্দ্রের বিধি ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি৷
বিজ্ঞপ্তি জারি করে মানব উন্নয়ন সম্পদ মন্ত্রণালয় জানানো হয়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ব্যধতামূলক৷ একই সঙ্গে পরীক্ষা মূল্যায়ন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ক্যাম্পাসে হাজিরা দিতেও বলা হয়েছে৷ এতদিন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন৷ তাঁদের ফের ক্যাম্পাসে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় যে ফাইনাল সেমিস্টার হওয়ার কথা, সেটা বাধ্যতামূলক৷ অর্থাৎ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই পরীক্ষা নিতে হবে৷ গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো আপত্তি নেই৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকার পর ইউজিসি তরফেও জারি করা হয়েছিল বেশ কিছু গাইডলাইন৷ আজ আরও একধাপ এগিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷ ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা দিতেই হবে৷ এমনকী এটাও বলা হয়েছে, যেহেতু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা মূল্যায়ন ও ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের কলেজে আসতে হবে৷ গোটা পরীক্ষায় হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে৷
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, খাতা পেন নিয়ে বা পরীক্ষা হলে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না৷ বাংলার ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিগত পরীক্ষার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত করে ফেলেছেন৷ পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন ভিত্তিতে ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ এগিয়ে গিয়েছে৷ আর এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি৷
এমনিতেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ৷ গোটা জুলাই মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ এর মধ্যে পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে ইউজিসি তরফ একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল৷ সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গতকাল নির্দেশ জারি করে জানিয়েছিল, পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের শেষে নেওয়া যেতে পারে৷ আজ একধাপ এগিয়ে কেন্দ্রের মানব-মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সেই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷ নিতে হবে সেই পরীক্ষা৷ যদিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা হবে৷ পরীক্ষা মূল্যায়ন ও পড়ুয়াদের একাডেমিক ভবিষ্যৎ গুরুত্ব দিয়ে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে৷
এখন প্রশ্ন উছঠে, রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ করবে? কেননা, ইতিমধ্যেই পরীক্ষা বাতিল করার ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যে৷ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে নির্দেশিকা দিয়েছে৷ কিন্তু, কেন্দ্রের তরফে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে৷ বিভ্রান্তিতে পড়েছেন বাংলার কয়েক লক্ষ পড়ুয়া৷