কলকাতা: বেহাল দশা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো শাখায়। ফেলের বন্যা যাকে বলে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে পড়ুয়ারা ক্ষুব্ধ, পাশাপাশি শিক্ষকরাও। কেন এমন অবস্থা হল তা নিয়ে এখন ভাবনা। অধিকাংশের মতে, সব বিষয় থেকে এমসিকিউ প্রশ্ন তুলে দেওয়ার কারণেই এই বিপত্তি। এটাই পাশ-ফেলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।
সম্প্রতি পলিটেকনিকের দ্বিতীয় সেমেস্টারে ফেল করেছেন ১২ হাজার ১৯৩ জন। যেখানে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২২ হাজার ৯০৬ জন ছাত্রছাত্রী। অর্থাৎ ফেলের হার প্রায় ৫৪ শতাংশ। অন্যদিকে চতুর্থ সেমেস্টারে ২৬ হাজার ৯৩৮ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ১০ হাজার ১৩৭ জন। এক্ষেত্রে ফেলের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। একাধিক শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মত, এ বছর ২০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে সমস্ত বিষয় থেকে। আগে তা ছিল ৩০ নম্বরের। এর জন্যই পাশ নম্বর তুলতেও হিমশিম খাচ্ছে সকল পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, গরমের ছুটির মধ্যে ক্লাস নেওয়ার কথা বলা হলেও ঠিকভাবে তা হয়নি।
তবে সবথেকে বড় কারণ যা মনে করা হচ্ছে তা হল পড়ুয়াদের মান। দেখা গিয়েছে, মাধ্যমিকে ন্যূনতম নম্বর পেয়ে পাশ ছাত্রছাত্রীদেরও ভর্তি নেওয়া হয়েছে। স্পট কাউন্সেলিংয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার র্যাঙ্ক করা ছাত্রছাত্রীরাও সুযোগ পেয়েছেন। এতে আদতে পড়াশুনা মান পড়ে যাচ্ছে, ফল ভালো হচ্ছে না। কিন্তু তা বলে এমসিকিউ তুলে দেওয়া হল কেন? জানানো হয়েছে, গণটোকাটুকি ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত।