নিট পরীক্ষায় বসতে পারলেন না বাংলার বহু পরীক্ষার্থী

কলকাতা: ওড়িশা বাদে সারা দেশেই রবিবার আয়োজিত হল নিট তথা ন্যাশনাল এন্ট্রান্স কাম এলিজিবিলিটি টেস্ট। কমবেশি দেশের ২০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় কথা ছিল। ফনির জেরে ওড়িশার পরীক্ষার্থীরা এদিন এই পরীক্ষায় বসতে পারেননি। দুপুর দু’টো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে দেশ বা পৃথিবীর অন্যতম বড় এই প্রবেশিকা পরীক্ষা। এই তিন ঘণ্টা বা ১৮০

নিট পরীক্ষায় বসতে পারলেন না বাংলার বহু পরীক্ষার্থী

কলকাতা: ওড়িশা বাদে সারা দেশেই রবিবার আয়োজিত হল নিট তথা ন্যাশনাল এন্ট্রান্স কাম এলিজিবিলিটি টেস্ট। কমবেশি দেশের ২০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় কথা ছিল। ফনির জেরে ওড়িশার পরীক্ষার্থীরা এদিন এই পরীক্ষায় বসতে পারেননি। দুপুর দু’টো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে দেশ বা পৃথিবীর অন্যতম বড় এই প্রবেশিকা পরীক্ষা। এই তিন ঘণ্টা বা ১৮০ মিনিটে তাঁদের উত্তর দিতে হয়েছে ১৮০টি প্রশ্নের।

এক-একটি প্রশ্নের জন্য চার নম্বর অর্থাৎ সর্বমোট ৭২০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়। সবচেয়ে বেশি ৩৬০ নম্বর ছিল বায়োলজিতে। ১৮০ নম্বর করে ছিল ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রিতে। ফিজিক্স প্রশ্নপত্র একটু কঠিন ছিল বলে বিভিন্ন মহল থেকে খবর এলেও বাকি দু’টি বিষয় নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ রাত পর্যন্ত করেননি অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই।

যদিও নিট হবে আর বিতর্ক হবে না— এ কি কখনও হয়! এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বহু পরীক্ষার্থী এবং তাঁদের বাবা-মায়ের অভিযোগ, আধার কার্ড না নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যের অসংখ্য পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়ে এসেও পরীক্ষায় বসতে পারেননি তাঁরা। ফলে গোটা বছরটাই নষ্ট হল তাঁদের। সময়, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা- সব জলে গেল। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ শিল্পতালুকের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থেকে এমনই ক্ষোভ উগরে দেন ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা ডাঃ নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, অন্য সচিত্র পরিচয়পত্র ছিল। কিন্তু, আধার কার্ড না থাকার জন্য পরীক্ষার্থীকে হলেই ঢুকতে দিলেন না আয়োজক সংস্থার লোকজন। বারবার অনুনয় বিনয়েও কাজ হয়নি। আরও এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, অ্যাডমিট কার্ডে কোথাও লেখাই ছিল না মূল আধার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে পরীক্ষার্থীদের। কী কী নিয়ে আসা যাবে না, সেসব লেখা রয়েছে তাতে। কিন্তু, কী কী সঙ্গে আনতেই হবে, তা লেখা কোথায়? তাছাড়া অন্য সচিত্র পরিচয়পত্র কী দোষ করল? ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে কি ছিনিমিনি খেলছে আয়োজক সংস্থা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 11 =