কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত মহুয়া দাস৷ তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিতে চলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য৷ দ্রুত দায়িত্ব গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে তাঁকে৷ এই বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে৷ এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৪ বছরের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দায়িত্ব সামলাবেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য৷
আরও পড়ুন- শিক্ষকের অভাবে বন্ধের মুখে স্কুল, বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণার সময়েই মহুয়ার একটি মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়৷ তিনি বলেছিলেন, ‘সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৪৯৯৷ একটা ইতিহাস সংসদে তৈরি হয়েছে৷ একক ভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এক মুসলিম কন্যা৷ মুর্শিদাবাদের মেয়ে৷’’ ছাত্রীর ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে মন্তব্য করায় বিতর্ক দানা বাঁধে৷ পরে উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘিরেও রাজ্যজুড়ে অসন্তোষ তৈরি হয়৷ নম্বর নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা যায়৷ এর পর মুখ্যসচিব নিজে নবান্নে মহুয়া দাসের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ এবং পরে ফেল করা সকল ছাত্রছাত্রীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়৷ উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে এত ভুল ভালো নজরে দেখেনি রাজ্য সরকার৷ ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে রাজ্য সরকার ক্ষুব্ধ ছিল৷ ফলে শুধু বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অপসারণ নয়৷ সমগ্র পরিস্থিতির জন্যেই এই সিদ্ধান্ত৷ গতকাল বিকাশ ভবনে বৈঠকের পর এই নির্দেশিকা জারি করা হয়৷
এদিকে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে যাতে দ্রুত রিলিজ করা হয় তার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়রের কাছেও আর্জি জানানো হয়েছে৷ দায়িত্ব পাওয়ার পর চিরঞ্জীববাবু জানান, স্কুল শিক্ষা দফতরের অর্ডার তাঁর হাতে এসে পৌঁছবেন৷ সোবাবার সংসদ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেবেন৷ প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষেই মহুলা দায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল৷