কলকাতা: দেশজুড়ে চলছে লকডাউন৷ শুনশান পথঘাট৷ বন্ধ স্কুল-কলেজ৷ বন্ধ পঠনপাঠন চালু করাতে রাজ্যে শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল ক্লাস৷ করোনা, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলার কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার রাতের ঘুম উড়িয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল কবে হবে তা নিয়ে৷ পড়ুয়াদের উদ্বেগ কাটিয়ে ফল প্রকাশের সম্ভব্য সূচিও জানিয়েছে পর্ষদ সভাপতি৷ মাধ্যমিক পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সেই সমস্ত ধোঁয়াশা কাটিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘বাংলার শিক্ষা’ ভার্চুয়াল ক্লাসের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জবাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷
আজ দুপুরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলার শিক্ষা’ ভার্চুয়াল ক্লাস অংশ নেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, ঠিক কবে নাগাদ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা যেতে পারে৷ মাধ্যমিকের সম্ভাব্য ফল প্রকাশ নিয়ে পর্ষদ সভাপতির মন্তব্য, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে৷ আমাদের খাতা দেখা শেষ হয়ে গিয়েছে৷ নম্বর জমা পড়ার কাজ চলছিল৷ সেই অবস্থায় আমাদের লকডাউন শুরু হয়েছে৷ লকডাউনের কারণে পরীক্ষকরা সমস্যায় পড়েছেন গিয়েছেন৷ লকডাউন উঠলেই আমরা কিন্তু একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ফল বের করার চেষ্টা করব৷ আমাদের মিনিমাম কিছু সময় লাগবে৷ সেই সময়টুকু আমাদের দিতে হবে৷ আমি ছাত্র-ছাত্রীদের আশ্বস্ত করতে পারি, তারা নিশ্চিন্ত থাকুক, সব থেকে কম সময়ের মধ্যে, যে সময়টুকু আমরা ন্যূনতম পাব, সেই সময়ের মধ্যেই আমরা ফল প্রকাশ করব৷’’
এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি৷ শেষ হয়েছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি৷ ১০ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে৷ ইতিমধ্যেই প্রায় এক কোটি উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ শেষ৷ ১৭ শতাংশ নম্বর জমা পড়ে গিয়েছে৷ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু হলেও বাধ সেধেছে করোনা৷ এর আগে সংবাদমাধ্যমে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘‘যদি ১৪ এপ্রিল পর লকডাউন শেষ হয়, তাহলে আমাদের পরীক্ষকরা খাতা জমা দেবেন৷ তারপর স্কুটিনি হয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আসবে৷ ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু করতে ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ সময় লাগবে৷ যদি ১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ হয়, তাহলে আমরা আশা করছি, জুন মাসের শেষের দিকে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করা যেতে পারে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে নির্দেশ আছে৷ এক্ষেত্রে সেটা কার্যকর করা যাচ্ছে না৷’’