কলকাতা: পরীক্ষার ১৩৯ দিন পর প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল৷ এই বছর পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৬ জন প্রার্থী৷ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় জেলার জয়জয়কার৷ এ বছরও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সাফল্যের হার সর্বাধিক৷ এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে অরিত্র পাল৷ মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্র অরিত্রের প্রাপ্ত নম্বর ৭০০-র মধ্যে ৬৯৪ (৯৯.১৪%)৷
মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দা হাইস্কুলের সায়ন্তন গড়াই এবং পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশন অভীক দাস৷ তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩৷ তৃতীয় হয়েছে তিনজন৷ কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের সৌম্য পাঠক, দেবস্মিতা মহাপাত্র এবং রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন হোমের ছাত্র অরিত্র মাইতি৷ তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০৷ চতুর্থ স্থানে রয়েছে বীরভূম জেলা স্কুলের অগ্নিভ সাহা৷ তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯৷
পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি হাইস্কুলের অঙ্কিত সরকার, বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুলের স্বস্তিক সরকার, বাঁকুড়া মহাপাত্র বিক্রমপুর আরডি হাইস্কুলের রাশ্মিতা সিনহা মহাপাত্র এবং বিভা বসু মণ্ডল গোরাবাজার ইশ্বরচন্দ্র ইন্সটিটিউশন, মুর্শিদাবাদ৷ তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮৷
ষষ্ঠ হয়েছে ১২ জন। শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের রিঙ্কিনি ঘটক। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের সাগ্নিক সিংহ, বীরভূম জেলা স্কুলের অর্চিস্মান সাহা, বীরভূম জেলা স্কুলের রাজিবুল ইসলাম, বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজিয়েট স্কুলের সৌরভ বিশ্বাস, বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুলের সৃজন সাহা, চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের সোহম দাস, পুরুলিয়ার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের দক্ষিণচক হাইস্কুলের অরিজিৎ গুহ রায়, জ্ঞানপীঠ বিদ্যাপীঠ পূর্বমেদিনীপুরের সপ্তর্ষি জানা, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের প্রিন্স কুমার সাহা, অশোকনগর বাণীপীঠ গার্লস হাইস্কুলের অস্মি চৌধুরি, হরিয়া ময়নাপুর হাইস্কুল, হাওড়া সৌহার্দ পাত্র৷ এদের সকলেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭৷
সপ্তম হয়েছেন মোট ১৭ জন৷ কোচবিহারের মনীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের করণ দত্ত, গোপালনগর হাইস্কুল, কোচবিহারের ঋতম বর্মন, মালদা জেলা হাইস্কুলের সোহম তামাং, রামপুরহাট বিদ্যাভবনের সুরজিৎ চন্দ, বীরভূম জেলা স্কুলের অরণী চট্টোপাধ্যায়, বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের অরিত্র মাঝি, কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের সাগ্নিক মিত্র, বর্ধমানের সিএমএইচ হাইস্কুলের সৌভিক সরকার, চন্দননগর কৃষ্ণ ভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের সুয়া ঘোষ, আরামবাগ হুগলীর দিব্যকান্তি ঘোড়াই, হুগলীর সারদামনি গার্লস হাইস্কুলের সম্প্রীতি কুণ্ডু, পূর্ব মেদিনীপুরের ঋত্বিক সামন্ত, কোলাঘাটের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হাইস্কুলের পিয়াস প্রামাণিক, সাহিত্য মঢ্ল, হাওড়ার শহিদ মহম্মদ শামিম৷ তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬৷
এছড়াও ৬৮৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে ১১ জন৷ জলপাইগুড়ির অরুণতীর্থ সাহা, মালদার নাজীন আজহার, হুগলির সুপ্রতী ভৌমিক, বাঁকুড়ার অঙ্কিতা ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের শুভঙ্কর মাইতি, কোলাঘাটের সময় প্রভা দে, মুর্শিদাবাদের মহাজন দেবনাথ, বনগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের মঞ্জুষ হালদার, দমদমের অয়ন ঘোষ, দক্ষিণ বারসতের সৌম্যদ্বীপ সরকার, শ্রেয়স সরকার, জলপাইগুড়ির সুনিতাবালা। এদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫৷
নবম স্থানেও রয়েছে অনেকেই৷ মালদার অঙ্কিতা মণ্ডল, জলপাইগুড়ির শ্রেয়স সরকার, মালদার অঙ্কিতা মণ্ডল, বাঁকুড়ার অরিত্রিক সানিগ্রাহি, বাঁকুড়ার সাবর্ণ হাতি, পশ্চিম বর্ধমানের অনুশ্রী ঘোষ, পূর্ব বর্ধমানের উচ্চশির মণ্ডল, পুরলিয়ায় শুভ্রদ্বীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব মেদিনীপুরের তন্ময় বর। তাদের প্রাপ্ত সকলেরই নম্বর ৬৮৪।
মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারীরা পেয়েছেন ৬৮৩। দশম স্থানেও রয়েছেন অনেক পরীক্ষার্থী। মালদার দেবাঞ্জন দে, মালদার সায়ন কর্মকার, বালুরঘাটের রূপসা সাহা, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দেবাত্রিয়া দাস, বাঁকুড়ার অঙ্কন পাত্র, বাঁকুড়ার সোনামুখীর প্রহ্লাদ দত্ত, পূর্ব বর্ধমানের দেবদূত ঘোষ ও অন্বেষা ভট্টাচার্য, সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের সায়ন বিশ্বাস, পূর্ব মেদিনীপুরের সোহম মাইতি, হুগলি উত্তর পাড়ায় সাগ্নিক মাইতি। এই বছর মাধ্যমিকে পাশের হারেও নতুন রেকর্ড হয়েছে৷ উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০৫ জন৷