কলকাতা: শিক্ষকদের জন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে বার বারই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি৷ এবার এই তালিকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন৷ ইতিমধ্যেই উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় ও পদ্ধতিগত নিয়মে পরিবর্তন নিয়ে অসন্তোষ ও সমালোচনা শুরু হয়েছিল৷ শনিবার, মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরেই, মূল্যায়ন সংক্রান্ত শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিত নিয়মবিধিতে একাধিক ত্রুটি তুলে ধরে অভিযোগে সোচ্চার হল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ৷
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, উত্তরপত্র সঠিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনও উত্তরে বরাদ্দ নম্বরের থেকে কম নম্বর দিলে পরীক্ষককে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে৷ প্রতিটি ক্ষেত্রে কারণ দর্শাতে গেলে পরীক্ষকদের এক একটি খাতা দেখার জন্য অনেক বেশি সময় লাগবে৷ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যমানের সময়সীমা বিগত বছর গুলোর তুলনায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ২৩-২৪ দিনের পরিবর্তে মাত্র ১৬ দিন ধার্য করা হয়েছে৷ অর্থাৎ প্রায় একসপ্তাহের বেশি সময় কমানো হয়েছে৷
সময়সীমা অনুযায়ী উত্তরপত্রের সংখ্যা কমানো হয়নি৷ অন্যান্য বছরের মতোই প্রত্যেক পরীক্ষককে মূল্যায়নের জন্য ১৫০টি করে উত্তর পত্র দেওয়া হয়েছে৷ বহু পরীক্ষককে মাধ্যমিকের পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের খাতাও দেখতে হয়। একইসঙ্গে একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার চাপ থাকে ওই একই সময়ে৷ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বহু শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কোনো উত্তরপত্র তাদের দেওয়া হয় না৷
শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারীর মতে, শিক্ষা দপ্তরের এই ধরণের পদক্ষেপ পরিকল্পনাবিহীন৷ এর জন্য উদ্ভূত সমস্যার দায় কেনও শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে পর্ষদের এই ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি৷