লখনউ: সিবিএসসি দ্বাদশ বোর্ড পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করল লখনউয়ের মেয়ে দিব্যাংশী জৈন৷ ছটি বিষয়ে ৬০০-র মধ্যে ৬০০ পেয়ে তাক লাগাল সে৷ বরাবরই মেধাবী দিব্যাংশী যে ভালো ফল করবে, সে বিষয়ে সকলেই প্রায় নিশ্চিত ছিলেন৷ কিন্তু প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ফল করেছে দিব্যাংশী৷
হিউম্যানিটিজের ছাত্রী দিব্যাংশী সাধারণ পরিবারের মেয়ে৷ বাবার একটি দোকান আছে৷ মা গৃহবধূ৷ দ্বাদশে তাঁর বিষয় ছিল ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংস্কৃত, ইংরেজি এবং ইনসিওরেন্স৷ করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে একমাত্র ভুগোল পরীক্ষা দিতে পারেননি দিব্যাংশী৷
পরীক্ষার জন্য কী ভাবে প্রস্তুত করেছিলেন নিজেকে? তাঁর সফলতার মন্ত্রী কী? এর উত্তরে দিব্যাংশী বলেন, প্রথম থেকেই নিজেকে তৈরি করেছিলাম৷ প্রত্যেক দিন অল্প অল্প করে পড়তাম৷ তবে পড়ার জন্য কোনও দিনও ঘুমের সঙ্গে সমঝোতা করিনি৷ কোনও কোনও দিন এমনও হয়েছে পড়তে পারিনি৷ তবে পরের দিন তা কভারআপ করে নিতাম৷ কখনও মুখস্থ করার চেষ্টা করতাম না৷ যতটুকু পড়তাম একবার খতিয়ে দেখে নিতাম, কতটা তৈরি হয়েছে৷ আমি কতটা প্রস্তুত হয়েছি৷ রিভিশন এবং মক টেস্টের সময় যে ভুল গুলো হতো, সেগুলোকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতাম৷
দিনে কত ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে দিব্যাংশী জানান, কোনও দিনও ঘণ্টা ধরে পড়েননি তিনি৷ তবে ধারাবাহিকভাবে পড়তেন৷ ফল প্রকাশের পর এই সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত দিব্যাংশী৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি একইসঙ্গে আনন্দিত এবং হতবাকও৷’’ তার এই সাফল্যের জন্য বাবা-মা ও শিক্ষকদের কৃতিত্ব দিয়েছেন দিব্যাংশী৷ তিনি বলেন, স্কুলে শিক্ষকদের কাছ থেকে সব সময়ই সহযোগিতা ও গাইডেন্স পেয়েছি৷ আর বাড়িতে বাবা-মায়ের জন্য রুটিন মেনে চলতে পেরেছি৷
ভবিষ্যতে ইতিহাস নিয়ে পড়তে চান এই কৃতী ছাত্রী৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর৷ অন্যদিকে, ছাত্রীর এই অসাধারণ রেজাল্টে অত্যন্ত আনন্দিত স্কুলের অধ্যক্ষ বি সিং৷ তিনি বলেন, দিব্যাংশী যে মেধা তালিকায় থাকবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম৷ কিন্তু ও আমাদের আশার চেয়েও অনেক ভালো ফল করেছে৷