কলকাতা: পুজোর আগেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোন স্কুল কত ছাড় দেবে তা নির্ণয় করবে শিক্ষক এবং অভিভাবককে প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত কমিটি। সেই সিদ্ধান্তের পর এখন কেটে গিয়েছে প্রায় আড়াই মাস। এখন অভিবাবকদের হাতে আর মাত্র ১০ দিন রয়েছে এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্কুলের ফি প্রদান করার। এই প্রেক্ষিতে শহরের বিভিন্ন স্কুল তাদের ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাকি ফি জুতো দিয়ে দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্রী শিক্ষায়তন থেকে শুরু করে লয়োলা হাই স্কুল, সাউথ পয়েন্ট, সমস্ত স্কুলে পেমেন্ট বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। অভিভাবকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে, তারা যেন সঠিক সময় মত পেমেন্ট করে দেন। এ ক্ষেত্রে শ্রী শিক্ষায়তন স্কুল অভিভাবকদের তিনটি উপায় সম্পর্কে বলেছে: এক, তারা ৮০ শতাংশ ফি দিতে পারে; তারা গোটা অ্যামাউন্ট একবারে পেমেন্ট করতে পারে; যারা ইতিমধ্যেই পুরো পেমেন্ট করে দিয়েছেন, তারা যদি ২০ শতাংশের ছাড় চান, তাহলে তাদের পেমেন্ট আগামী মাসগুলোতে সেইমতো অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ অভিভাবকরা বিগত মাসগুলোতে পুরো পেমেন্ট করে দিয়েছেন। একই রকমভাবে শহরের অন্যান্য স্কুল গুলি ও তাদের নিজেদের মতো করে পেমেন্ট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। লা মার্টিনা স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া, যদি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কোনো অভিভাবক পেমেন্ট পুরোপুরি প্রধান না করতে পারেন, তাহলে সেই ছাত্রকে আর স্কুলের পড়ার জন্য অনুমতি দেওয়া যাবে না। আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইন ক্লাসে বসতে দেওয়া হবে না ওই ছাত্র বা ছাত্রীকে।
প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান ভিন্ন হওয়ার কারণে সার্বিকভাবে ফি হ্রাসের কোনও নির্দেশ সেভাবে কার্যকরী নাও হতে পারে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফি-সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকে আগেই কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল কমিটিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল বা প্রধান শিক্ষক ছাড়াও তিনজন প্রবীণ শিক্ষক এবং তিনজন অভিভাবক প্রতিনিধি থাকবেন, এছাড়া বলা হয়েছিল, কমিটিতে অভিভাবকদের তরফে যে প্রতিনিধিরা থাকবেন তাঁদের কোনওভাবেই মনোনীত করা চলবে না। বদলে একটি লটারির মাধ্যমে কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া সারতে হবে।