ওয়াশিংটন: করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে প্রচুর মানুষের মৃতু হয়েছে৷ গোটা বিশ্বেই এক অস্বাভাবিক পরিস্থিত সৃষ্টি হয়েছিল৷ মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন অনেকে৷ ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অথর্নীতিতে৷ এই ভাইরাসের জেরে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে৷ এখনও স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন৷
এর মাঝেই সামনে এল এক গবেষণার রিপোর্ট৷ যেখানে বলা হয়েছে, করোনা আবহে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে খুদেদের৷ সম্প্রতি প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চাদের ওপর অতিমারি সংক্রান্ত এক বৃহত গবেষণায় এই তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে৷ সমীক্ষায় এও দেখা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরে স্কুলে ফিরেও বাচ্চারা পুনরুদ্ধার করতে বেশ সময় নিয়েছিল৷
ছ’হাজারের বেশি প্রাথমিক স্কুলের ১.৪৭ মিলিয়ন পড়ুয়াদের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিল জুনিপার এডুকেশন ন্যাশনাল ডেটাসেট৷ প্রাক অতিমারি সময়ের তুলনায় করোনাকালে তারা কতটা অর্জন করেছে বা পিছিয়ে পড়েছে সেটা নিয়েই গবেষণা করা হয়েছে৷ এক থেকে ছ’বছরের শিশুদের পড়া, লেখা এবং অঙ্কের ওপর নজর দেওয়া হয়েছিল৷ ২০২০-র সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলের পড়াশোনা শিশুদের ওপর কী প্রভাব ফেলেছে, তাও এই প্রতিবেদনে দেখা হয়েছে৷ গোটা একবছরে সব বয়সি বাচ্চাদের ওপরই কমবেশি প্রভাব পড়েছে৷ তবে করোনা আবহে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ছোটদের পড়াশোনায়৷
করোনার মধ্যে সব ক্লাসই চলছিল অনলাইনে৷ একবছর বা তার চেয়ে একটু বড় বাচ্চাদের সেই ক্লাস বুঝতেই অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে৷ যে সময়টা ছোটদের বিকশিত হওয়ার জন্য ছিল, সেটা তাদের ঘরবন্দি হয়েই কাটিয়ে দিতে হয়েছে৷ অনেকের বাড়়িতেই বাচ্চাদের সঠিক বিকাশের পরিস্থিতি থাকে না৷ ফলে স্কুলটাই তাদের ভরসা৷ এমনকী স্কুলে যেসব কাজ করানো হয়, সেটা সবসময় বাড়িতে সম্ভব হয় না৷ কিন্তু করোনা তাদের কাছ থেকে সেটাও কেড়ে নিয়েছে৷ এই সময়ে স্কুলের শিক্ষকরাও বুঝতে পারেননি ছাত্রছাত্রীদের কতটা উন্নতি বা অবনতি হয়েছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে কী করে বা কবে তারা বের হতে পারবেন, তা সময় বলবে৷