কলকাতা: স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে ‘বিপ্লব ও সন্ত্রাসবাদ’ অধ্যায়ে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে তকমা আগেই দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ ২০১৪ সাল থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ক্ষুদিরামকে চিনে আসছে বাংলার পড়ুয়ারা৷ ২০১৪ থেকে চলতে থাকা সেই বিতর্কের পর অবশেষে রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের গড়ে দেওয়া রিভিউ কমিটি৷
সূত্রের খবর, ‘সন্ত্রাসবাদী’ ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে গোটা বাংলাজুড়ে বিতর্ক চললেও সেই ‘বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী’ শব্দে খুব একটা আপত্তি দেখছেন না রিভিউ কমিটির সদস্যরা৷ তবে, ক্ষুদিরামকে বিপ্লবী বলার সুপারিশ পেশ করা হতে পারে৷ উঠে যেতে পারে সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী তকমা৷ খুব দ্রুত এই মর্মে রিপোর্ট জমা পড়তে চলেছে শিক্ষা দপ্তরে৷ সেই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ ফলে, আগামী বর্ষের জন্য অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বই ‘অতীত ও ঐতিহ্য’ ছাপানোর কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে৷ কমিটির সুপারিশের পর নতুন করে বই ছাপার কাজ শুরু হতে পারে৷
সূত্রের খবর, রিভিউ কমিটি শিক্ষা দপ্তরকে বিপ্লবী আন্দোলনের সেনানী বলে উল্লেখ করার কথা সুপারিশ করতে পারে৷ সন্ত্রাসবাদী শব্দটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ পাঠাতে পারে কমিটি৷ তবে, ‘বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী’ উল্লেখ ভুল দেখছে না কমিটি৷ এই মর্মে সুপারিশ পাঠানো হতে পারে বলে খবর৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, পাঠ্য বই থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’টি তুলে দেওয়া হবে কি না, তা চূড়ান্ত করতে গিয়েই যদি ৫ বছর কেটে যায়, তাহলে তা কার্যকর করতে আর কত দিন সময় লাগবে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক মহলের একাংশ৷
চলতি বছর ১০ জুন অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ক্ষুদিরামকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার ঘটনায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বাম বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ভুল সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ গঠিত হয়েছে রিভিউ কমিটি৷ এবার সেই কমিটি তাদের সুপারিশ পেশ করতে চলেছে৷