বাংলার শিক্ষায় ‘লজ্জা’ ঢাকল রাজ্য! স্কুল পাঠ্যে বড় ভুল সংশোধন!

ক্ষুদিরাম বসু আর ‘সন্ত্রাসবাদী’ নন! এখন থেকে বাংলার পাঠ্যসূতিতে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ক্ষুদিরাম হলেন ‘সশস্ত্র বিপ্লববাদী’৷ প্রবল বিতর্কের পর অবশেষে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুল পাঠ্যে ক্ষুদিরাম বসুকে নয়া তকমা দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ রিভিউ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী  ২০২০ সাল থেকে নতুন ইতিহাসের বইয়ে পড়ুয়ারা জানতে পারবে সংশোধিত ক্ষুদিরামকে৷

কলকাতা: ক্ষুদিরাম বসু আর ‘সন্ত্রাসবাদী’ নন! এখন থেকে বাংলার পাঠ্যসূতিতে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ক্ষুদিরাম হলেন ‘সশস্ত্র বিপ্লববাদী’৷ প্রবল বিতর্কের পর অবশেষে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুল পাঠ্যে ক্ষুদিরাম বসুকে নয়া তকমা দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ রিভিউ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী  ২০২০ সাল থেকে নতুন ইতিহাসের বইয়ে পড়ুয়ারা জানতে পারবে সংশোধিত ক্ষুদিরামকে৷

অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বই ‘অতীত ও ঐতিহ্যে’ স্বাধীনতা অধ্যায়ে ক্ষুদিরামকে ‘বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদ’ বলে উল্লেখ করা হয়৷ কী করে একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া যায়, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব জ্ঞানহীন পদক্ষেপ ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক৷ সম্প্রতি বিধানসভায় এ নিয়ে বিরোধীরা সবর হন৷ প্রকাশ্যে শিক্ষামন্ত্রী ক্ষমাও চান৷ গঠন করা হয়  রিভিউ কমিটি৷ সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী স্কুল পাঠ্যে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ক্ষুদিরামকে ‘সশস্ত্র বিপ্লববাদী’ আখ্যা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষা দপ্তর৷

বেশ কিছু বিষয় বিচার বিবেচনা করে কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে, সন্ত্রাসবাদ শব্দ নিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের কাছে ভুল ব্যাখ্যা যাচ্ছে৷ ফলে তা পরিবর্তন করা দরকার৷ নভেম্বরে ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয়৷ ওই রিপোর্টে ক্ষুদিরামকে বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদের পরিবর্তে সশস্ত্র বিপ্লববাদী  আখ্যা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ কমিটির প্রস্তাব মেনে সন্ত্রাসবাদ শব্দটি সংশোধন করছে শিক্ষা দপ্তর৷

কিন্তু, এত দেরিতে শিক্ষা দপ্তরের ঘুম ভাঙায় কারণে আগামী শিক্ষা বর্ষ অর্থাৎ ২ জানুয়ারির মধ্যে পড়ুয়ার হাতে নতুন সংশোধিত বই তুলে দেওয়া আদৌ যাবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ কেননা, অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বইয়ে সংশোধনী অংশ ছাপিয়ে সময়ের মধ্যে বই পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছে দেওয়া এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়ে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *