কানপুর: ছ’টি আলাদা আলাদা বিষয়ে ছ’বার ইউজিসি নেট পরীক্ষা পাস করে রেকর্ড গড়লেন অমিত কুমার নিরঞ্জন৷ প্রথম ভারতীয় হিসেবে অমিত কুমারই এই কৃতিত্বের দাবিদার৷ কানপুরের অমিত কুমার নিরঞ্জন ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইকোনমিকস এবং কমার্স পড়াচ্ছেন। ভালো একজন শিক্ষক হিসেবে যথেষ্টই পরিচিতি রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি খ্যাতি রয়েছে ভালো ছাত্র হিসেবেও। এই বিরল কৃতিত্বের জন্য ৩৭ বছরের এই শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে৷
জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে কমার্স নিয়ে অমিত তাঁর প্রথম ইউজিসি নেট জেআরএফ পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় সাফল্যের পর ওই বছরই তিনি ইকোনমিকস নিয়ে ইউজিসি নেট পরীক্ষা দেন এবং সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। সেই শুরু তারপর থেকে চলতে থাকে তাঁর পরীক্ষায় বসা এবং সফল হওয়ার পালা। ২০১২ সালে ম্যানেজমেন্ট, ২০১৫ সালে এডুকেশন, ২০১৯ সালে পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং ২০২০ সালে সোশিওলজি নিয়ে ইউজিসি নেট পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেন অমিত৷ তবে তাঁর সাফল্যের যাত্রাপথ শুধুমাত্র এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, ইতিমধ্যেই ২০১৫ সালে আইআইটি-কানপুর থেকে তিনি ইকোনমিকসে তাঁর পিএইচডির ডিগ্রিও কুক্ষিগত করেছেন৷
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অমিত জানিয়েছেন যে চাইলেই ভালো শিক্ষক পাওয়া যায় না। কিন্তু ভারতে মেধাবী ছাত্রের অভাব নেই। তাদের প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণ। তাই নিজেকে যত ভাবে পারা যায়, ছাত্রদের জিজ্ঞাসার যোগ্য করে তুলছেন তিনি। যাতে তারা বিদেশে পড়াশোনার কথা না ভাবে৷ এই প্রসঙ্গে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও অমিত জানিয়েছেন যে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যথেষ্ট মজবুত, আইআইটি, আইআইএম এবং এআইআইএম ইতিমধ্যেই তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। অভাব শুধু সুশিক্ষকের, যেটা তিনি নিজের মতো করে পূর্ণ করার চেষ্টা করে চলেছেন।
তবে তিনি কোনও রেকর্ডের জন্য এটা করেননি তাও জানিয়েছেন অমিত৷ এটা তাঁর কাছে বাড়তি পাওনা ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এই অধ্যয়ন রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে নয়, বরং সমাজ গড়ার লক্ষ্যে। তাই ভবিষ্যতে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে এই এখানেই শেষ হচ্ছে না ইউজিসি নেট পরীক্ষা দেওয়ার পালা, এরপর একে একে সাইকোলজি, ফিলজফি আর সাহিত্য নিয়েও পড়াশোনা করবেন তিনি।