প্রতি বছর ‘দুর্নীতি-মুক্ত’ শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল প্রার্থীদের

আপার প্রাইমারি বিভাগের নিয়োগের পরীক্ষা পাস করে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। বয়স চলে যাচ্ছে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও এখনও পর্যন্ত বেকার তকমা ওঠেনি ওই সমস্ত উচ্চ শিক্ষিতদের। শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে বন্ধ রাখার কৌশলকে ধিক্কার জানিয়ে অবশেষে তাঁরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

 

মেদিনিপুর: প্যানেলে নাম আছে অথচ দীর্ঘ ৭ বছর ধরে বেকার। নিয়োগ হয়নি আপার প্রাইমারি বিভাগের শিক্ষকদের। এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিলেন চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্যরা৷ পাশাপাশি জেলা শাসককে ডেপুটেশনও জমা দেন তাঁরা।

আপার প্রাইমারি বিভাগের নিয়োগের পরীক্ষা পাস করে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। বয়স চলে যাচ্ছে, চাকরির পরীক্ষায় সফল হলেও বেকার তকমা ওঠেনি ওই সমস্ত উচ্চ শিক্ষিতদের। শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে বন্ধ রাখার কৌশলকে ধিক্কার জানিয়ে অবশেষে তাঁরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে বেকার হয়েছেন বহু মানুষ৷ সেখানে এই সমস্ত উচ্চ শিক্ষিত বেকারদের ভবিষ্যত নিয়ে আদৌ সরকার চিন্তিত কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এসএসসি'র মাধ্যমে নিয়োগ করার দাবিতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কমিটিকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এসএলএসটি ক্যান্ডিডেট অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে ওই ডেপুটেশনে কয়েক দফা দাবি লিখিত ভাবে পেশ করা হয়েছে। দাবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এক, নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে; দুই, সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত প্যানেল তৈরি করতে হবে; তিন, প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষা নিতে হবে এবং আন-অফিসিয়াল গেজেটিয়ার পর্যালোচনা করে শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা নিতে হবে এমসিকিউ এর মাধ্যমে; চার, প্রতিটি পরীক্ষার্থীর জন্য আলাদা ওএমআর শিটের ব্যবস্থা করতে হবে, ইত্যাদি।

জেলা শাসক ও ডিআই আন্দোলনকারীদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনে ওপর মহলকে এ বিষয়ে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এরপরেও সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। -ফাইল চিত্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − six =