কলকাতা: নতুন শিক্ষাবর্ষে বাংলাশিক্ষা পোর্টালকে ত্রুটি মুক্ত ও ব্যবহাযোগ্য করে তোলার জন্য নথিভুক্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য যাচাইকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার বিষয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলা আধিকারিকদের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর৷ এপর্যন্ত ১.৩৩ কোটি ছাত্রছাত্রীর তথ্য নিযুক্ত হয়েছে এই পোর্টালে৷ নির্ধারিত সময়সীমা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ করে দেওয়া হয়৷ সেই নির্দেশিকার ভিত্তিতে ৭ ডিসেম্বর, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ হয় সেই সময়সীমা৷ এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমস্ত জুনিয়র হাই স্কুলগুলিকে শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠানোর কাজ শেষ করার নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তর৷
যে স্কুলগুলি এই সময়ের মধ্যে সামগ্রিক তথ্য জমা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে সেই স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়৷
ফলে শিক্ষার্থীদের তথ্য জানানো বিষয়ে কম সময় পাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ এত কম সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে তথ্যে ভুল হবে না বলেও দাবি করেছিলেন শিক্ষকদের একাংশ৷ এছাড়াও গ্রামাঞ্চলের দিকে ইন্টারনেট বেশিরভাগ সময় ডাউন থাকার ফলে সেক্ষেত্রে এত কম সময়ে তথ্য আপলোড করা সম্ভব নাও হতে পারে, এর জন্য সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত করার দাবিও জানিয়েছিলেন তারা৷
পশ্চিমবঙ্গের ৬৫ হাজার স্কুল, দেড় কোটি পড়ুয়া, সাড়ে চার লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে একই ছাদের নীচে আনতে এবছরের শুরুতেই ওয়েব পোর্টাল ‘বাংলার শিক্ষা’ চালু করে রাজ্য শিক্ষা দফতর৷ এছাড়াও স্কুলের মিড-ডে মিল, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন সংক্রান্ত তথ্য, ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে মতের আদানপ্রদান, জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কর্মপদ্ধতি-এসবকিছুর জন্যেও আলাদা আলাদা অ্যাপ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দপ্তর৷