কৃষিতেই রয়েছে ভারতের ভবিষ্যতের সাফল্য, কেন জানেন?

আজ বিকেল: ভারতের অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি, যদিও এই ধ্রুব সত্য থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে আগামী প্রজন্ম। শিল্পকে ভবিষ্যতে পরিণত করতে গিয়ে কৃষির হাল অনেকটা দুয়োরানির মতো। দেশের সরকার ভোট পেতে আর্থিক বাজেটে কৃষিবন্ধু বরাদ্দ ঘোষণা করলেও আক্ষরিক অর্থে তার কোনও ফলাফল দেখা যায় না। কিন্তু একটু ইতিবাচক ভাবে গোটা বিষয়টি দেখলে একটা জিনিস স্পষ্ট

4a0d001a3c35ee7a48d9571cbbfab2a9

কৃষিতেই রয়েছে ভারতের ভবিষ্যতের সাফল্য, কেন জানেন?

আজ বিকেল: ভারতের অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি, যদিও এই ধ্রুব সত্য থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে আগামী প্রজন্ম। শিল্পকে ভবিষ্যতে পরিণত করতে গিয়ে কৃষির হাল অনেকটা দুয়োরানির মতো। দেশের সরকার ভোট পেতে আর্থিক বাজেটে কৃষিবন্ধু বরাদ্দ ঘোষণা করলেও আক্ষরিক অর্থে তার কোনও ফলাফল দেখা যায় না। কিন্তু একটু ইতিবাচক ভাবে গোটা বিষয়টি দেখলে একটা জিনিস স্পষ্ট যে কৃষিতেই সুরক্ষিত হতে পারে আগামী প্রজন্ম। সেখানেই রয়েছে দ্বিগুণ লাভের সুযোগ, একদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে দেশে অন্যদিকে কৃষকদের ভবিষ্যতও সুরক্ষিত হবে।

আমরা জানি যেকোনও জাতির কাছে খাদ্য সুরক্ষা হল সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কৃষকদের ফসল ফলানোর ক্ষমতাকে যদি প্রযুক্তির সহযোগিতা দিয়ে উচ্চমানের কাজে লাগানো যায় তাহলে উজ্জ্বল ভবিষ্যত শুধু সময়ের অপেক্ষা। কৃষিকাজে প্রযুক্তি ব্যবহার হলে কৃষকের পরিশ্রম কমবে, কম সময়ে অনেক ভাল ফসল ফলানো সম্ভব হবে। এতে কৃষি নিয়ে পড়াশোনা করে পড়ুয়াদের যেমন কাজের সুযোগ ঘটবে, তেমনই ফসল ফলিয়ে লাভের মুখ দেখবেন চাষিরা। এজন্য প্রত্যেকটি রাজ্যে পৃথকভাবে কমিউনিটি গঠন করে শুরু করতে হবে কাজ। প্রথমেই কৃষকদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে, কেননা উতপাদিত ফসল মিডলম্যানের হাত ধরে খোলা বাজারে প্রচুর দামে বিক্রি হলেও তা কৃষকের ভাগ্যে জোটে না। একইভাবে সরকারি সহায়তা থেকেও তারা বঞ্চিত। তাই কৃষকদের সহযোগিতা করতে হলে তাদের বিশ্বাস করাতে হবে যে কমিউনিটি গঠন করে সরকারি সহযোগিতায় লাভ হওয়া সম্ভব।

বেসরকারি উদ্যোগে কৃষকদের কাছে পৌঁছবে উন্নতমানের বীজ, ফসল ফলানোর জন্য প্রয়োজনীয় কীটনাশক ও যন্ত্রপাতি। এরপর স্থানীয় উদ্যোগেই ফসলকে প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা হবে, তারপর প্রক্রিয়াজাত খাবার যাবে বিদেশে। একই সঙ্গে লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *