পেনশন, পে প্রটেকশন, বদলির দাবিতে ফের বিকাশ ভবনে শিক্ষক সংগঠন

সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এতদিনেও পরিবর্তিত পেনশন পাননি এবং অনার্স গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা পে প্রোটেকশন পাচ্ছেন না। এই দুটি ঘটনাই খুব দুঃখজনক। ট্রান্সফার, TGT স্কেল, স্বাস্থ্যবিমা সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এই সরকার উদাসীন। একইভাবে কেন্দ্রের সর্বনাশা জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষার শেষ সুযোগটুকু কেড়ে নেবে।

কলকাতা: অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বর্ধিত পেনশনের নির্দেশিকা মার্চ মাসে চালু হলেও তা এখনও কার্যক্ষেত্রে চালু হয়নি। ফলে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা অবসর নিয়েছেন তাঁরা বর্ধিত হারে পেনশন পাচ্ছেন না। এই নিয়ে বুধবার মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের (এসটিইএ) তরফে বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দেয়।  ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষকদের পেশাগত বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দিল মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতি(STEA)। ডেপুটেশন দেওয়া হয় পেনশন অ্যান্ড প্রভিসনাল গ্র্যাচুইটি (DPPG) বিভাগে। ডিপিপিজি দফতর থেকে জানানো হয়, অতিমারির সময়ে রোস্তার মেনটেন করে আসছেন কর্মচারীরা, যার ফলে কর্মী উপস্থিতির সংখ্যা কম থাকছে ফলে এই সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। একই দাবিতে এ বছরেরই ৩০ জুন ডিপিপিজি দফতরের ডেপুটেশন দিয়েছিল এসটিইএ।

এরপর নতুন দাবি নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতি প্রতিনিধি দল পৌঁছয় বিকাশ ভবনে। তাঁদের দাবি, কর্মরত অনার্স গ্রাজুয়েট শিক্ষক যাঁরা বদলির সুযোগ না পেয়ে বাড়ির কাছে আসার জন্য ফের এসএসসি দিয়ে নতুন স্কুলে নিয়োগ হচ্ছিলেন, তাঁদের পে প্রোটেকশন দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়টি নিয়ে এদিন বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিতে যায় এই সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় এদিন ডেপুটি ডিরেক্টর, গ্রান্ট ইন এড অলক কুমার সরকার সঙ্গে দেখা করে প্রতিনিধি দল। তিনি সমস্ত বক্তব্য শুনলেও দফতরের আইনি সীমাবদ্ধতার কথা জানান।
ডেপুটেশন দেওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এতদিনেও পরিবর্তিত পেনশন পাননি এবং অনার্স গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা পে প্রোটেকশন পাচ্ছেন না। এই দুটি ঘটনাই খুব দুঃখজনক। ট্রান্সফার, TGT স্কেল, স্বাস্থ্যবিমা সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এই সরকার উদাসীন। একইভাবে কেন্দ্রের সর্বনাশা জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষার শেষ সুযোগটুকু কেড়ে নেবে। ফলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ও ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করতে হবে। বিগতদিনে যে ক’টি দাবি আমরা আদায় করেছি তা আন্দোলনের মাধ্যমেই। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে এই আন্দোলন ব্যাহত হচ্ছে।’

এদিনের ডেপুটেশনে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা থেকে হাজির ছিলেন জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার ও ক্যানিং মহকুমা সম্পাদক প্রসেনজিৎ হালদার। অনিমেষ বাবু বলেন, ‘পেনশন ব্যবস্থার সরলীকরণ ও গতি বাড়ানোর জন্য ই-পেনশন চালু হয়ে হয়েছিল। কিন্তু ই-পেনশনে রোপা ২০১৯ অনুযায়ী বর্ধিত পেনশন দিতে গিয়ে আরও জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে ট্রান্সফার, টিজিটি স্কেল সহ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-লাইব্রেরিয়ানদের বিভিন্ন পেশাগত দাবিতে দ্রুত ভার্চুয়াল মুভমেন্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =