শ্রীনগর: অভিযোগের শেষ নেই৷ সে কারণে হোক কিংবা অকারণে, পান থেকে চুন খসলেই হল, অভিভাবকদের কাঠগড়ায় ওঠেন শিক্ষকরা৷ সেই ছাত্র শাসন করা হোক, অথবা পড়ুয়াদের নম্বর বন্টন৷ বিতর্ক পিছু ছাড়ে না সমাজ গড়ার কারিগরদের বিরুদ্ধে৷ তার উপর রয়েছে শিক্ষকদের গরহাজিরার বিস্তর অভিযোগ৷ এবার সেই ‘ফাঁকিবাজ’ শিক্ষকদের বেতনে বড়সড় কোপ দিতে চলেছে সরকার৷
শিক্ষকরা ঠিকঠাক পড়ান বলে অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে প্রতি মাসে শিক্ষকদের স্কুলে হাজিরার সংক্রান্ত শংসাপত্র পেশ করতে হবে৷ ওই শংসাপত্রে স্বাক্ষর থাকতে হবে অন্তত ১০ জন অভিভাবকের৷ হাজিরা সংক্রান্ত শংসাপত্র জমা দেওয়ার পরই শিক্ষকদের বেতনের নথিপত্র প্রস্তুত হবে৷ তবে, প্রতি মাসে একই অভিভাবকদের দিয়ে স্বাক্ষর করালে চলবে না৷ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ১০ অভিভাবকের সই৷ প্রতিমাসে বেতন পেতে গেলে এই কাজ নিয়মিত ভাবে চালিয়ে যেতে হবে৷
ওই শংসাপত্রের উপর নির্ভর করবে শিক্ষকদের বেতনের পরমাণ৷ সংশ্লিষ্ট ট্রেজারিতে বেতনের বিল জমা দেওয়ার সময় অভিভাবকদের দেওয়া শংসাপত্রে পঞ্চায়েত সদস্যের স্বাক্ষরও জরুরি৷ সরকারি স্কুলের পঠনপাঠনের ওপর গুরুত্ব দিতেই এই আজব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তোয়ারের স্থানীয় প্রশাসন৷ তবে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত পিছিয়ে পড়া জম্মু ও কাশ্মীরের এই ধরনের নীতি আদৌ বাস্তবে প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ যে এলাকায় প্রতিদিন গুলি-বোমা, জঙ্গি হামলা থেকে প্রাণ রক্ষা করাটাই দায়, সেখানে এই ব্যবস্থা কার্যকর কটাও বেশ চ্যালেঞ্জেরে৷