আজ বিকেল: আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যদি পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য কোনও সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা কার্যকরী না হয় তাহলে চরমপন্থাকেই বেছে নেবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতির বয়ানেই ছিল ২০২২ সালের পর পার্শ্বশিক্ষক পদটির আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না। এককথায় পার্শ্বশিক্ষক নামের কোনও পদ শিক্ষাব্বস্থার কোনও বিভাগেই আর দৃশ্যমান থাকবে না। তাহলে বর্তমানে যাঁরা পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছেন, তাঁদের অবস্থা কী হবে? এর কোনও উত্তর মেলেনি। বলা বাহুল্য, বার বার প্রশ্ন করেও এর কোনও সন্তোষজনক জবাব খুঁজে পায়নি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকমহল।
রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী, এসপিডি (রাজ্য প্রকল্প আধিকারিক) ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চরম বার্তা পাঠালো পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। সংগঠনের তরফে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল গত ৪ জুন শিক্ষা মন্ত্রী ও এসপিডি দপ্তরে গিয়ে দাবি পত্র জমা করে। শিক্ষামন্ত্রী ওএসডি জানান দাবি গুলি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। আজ ইমেলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সংগঠনের তরফে দাবি পত্র পাঠানো হয়েছে। সংগঠনের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, “বারবার আমরা সরকারের কাছে গিয়েছি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছি। কিন্তু ৪৮ হাজার পার্শ্ব শিক্ষকের কোন লাভ হয়নি। তাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকার দাবি গুলিকে কার্যকর না করলে কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছি।’’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ২০১০- এর আগে যখন বাম সরকার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন ছিল সেই সময় যাঁরা পার্শ্বশিক্ষক পদে বহাল ছিলেন তাঁর বেশকিছু দিন আগে চাকরি ক্ষেত্রে স্থায়িত্ব পেয়েছেন এমনকী, ৬০ বছর পর্যন্ত তাঁরা চাকরি করতে পারবেন। তাঁদের সম্মানজনক বেতনও নিশ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে যাঁরা তৃণমূল সরকারের আমলে এই পার্শ্বশিক্ষক পদে বহাল হন, তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত দুরূহ, মনে করা হচ্ছে, ২০২২ সালের পর হয়তো তাঁরা আর নিজেদের শিক্ষক বলে দাবিই করতে পারবেন না। যদি পদটাই উঠে যায়। কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ও শিক্ষাদপ্তরের কাছেই দরবার করেছিল পার্শ্বশিক্ষকদের মহল, তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। এই মহলের দাবি, কেন্দ্রীয় খসড়া শিক্ষানীতি লাগু হওয়ার আগে যিদি এই পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ী পদে আসীন করে রাজ্য তাহলে আর ভাবনা থাকে না। নাহলে একসহ্গে প্রায় ৪৮ হাজার পার্শ্বশিক্ষক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে গিয়ে পড়বেন, আর এটা কখনওই কাম্য হতে পারে না।