নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার ‘‘ইন্ডিয়ান ব়্যাঙ্কিং ২০২০’’ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল নিশাঙ্ক৷ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল ব়্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইএরএফ)-এ সার্বিকভাবে প্রথম তিনটি স্থান দখল করে নিল আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু এবং আইআইটি দিল্লি৷
অন্যদিকে, সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি) বেঙ্গালুরু৷ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ)। গত বছরও এনআইআরএফ এর মূল্যায়নে আইআইএসসি বেঙ্গালুরু প্রথম শিরোপা জিতেছিল। প্রথম দশে রয়েছে বাংলার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ও৷ পঞ্চম স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল৷
দেশের সেরা বি-স্কুলের শিরোপা পেয়েছে আইআইএম আহমেদাবাদ৷ এর পর যথাক্রমে রয়েছে আইআইএম বেঙ্গালুরু এবং কলকাতা৷
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব়্যাঙ্কিং কাঠামোর আওতায় রেখেছে শিক্ষাদান, পরীক্ষার ফলাফল, সম্পদ, গবেষণা ও পেশাদার অনুশীলন, স্নাতক শ্রেণির ফলাফল সহ বিভিন্ন পরিসরে মূল্যায়ন। পর্যবেক্ষনের ভিত্তিতে র্যা ঙ্কিংয়ের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই বছর, ডেন্টাল ইনস্টিটিউটগুলির জন্য একটি পৃথক র্যা ঙ্কিংয়ের তালিকা রয়েছে।
সারা দেশে কলেজের তালিকায় শীর্ষস্থান ঝুলিতে পুরেছে মিরান্ডা কলেজ৷ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে লেডি শ্রী রাম কলেজ ফর উইমেন এবং সেন্ট স্টেফেন কলেজ৷ দেশের প্রথম তিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হল আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইটি দিল্লি এবং আইআইটি বম্বে৷
ফার্মাসি বিভাগে সেরা হয়েছে দিল্লির জামিয়া হামদর্দ৷ এর পর যথাক্রমে রয়েছে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চন্ডীগড় এবং মোহালির দা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ৷
মেডিক্যাল কলেজের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দিল্লির এইমস৷ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিজিআই, চণ্ডীগড় এবং সিএমসি ভেলোর৷
এই নিয়ে পঞ্চমবার উচ্চ শিক্ষায় ইন্ডিয়ান ব়্যাঙ্কিং প্রকাশিত হল৷ এই অনুষ্ঠানে পোখারিয়াল বলেন, এই ব়্যাঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনে পড়ুয়াদের ভীষণভাবে সাহায্য করবে৷ অন্যদিকে জাতীয় স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই ব়্যাঙ্কিং প্রতিযোগিতা স্পৃহা আরও বাড়িয়ে তোলো৷ ফলে বিশ্ববিদ্যায়গুলির মানও আরও বাড়বে৷