মোদির শাসনে দেশের শিক্ষার হাল কেমন? সুফল পাবে আগামীর ভারত?

শাম্মী হুদা: দেরিতে হলেও ভারতের সার্বিক শিক্ষার হার বদলাচ্ছে। ২০১৮ র শিক্ষা পরিসংখ্যান রিপোর্ট বলছে দেশে সামগ্রিক শিক্ষার হার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশ। এবছরে স্কুলে ভর্তি হওয়া ছেলেমেয়েদের প্রায় ৯৫ শতাংশের বয়স ৬ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। যদিও শিশুদের ভর্তির হার প্রায় তিন শতাংশ কমেছে। জানা গিয়েছে, ৫৯৬টি প্রত্যন্ত গ্রামের ৫৪ লক্ষ ৬ হাজার

মোদির শাসনে দেশের শিক্ষার হাল কেমন? সুফল পাবে আগামীর ভারত?

শাম্মী হুদা: দেরিতে হলেও ভারতের সার্বিক শিক্ষার হার বদলাচ্ছে। ২০১৮ র শিক্ষা পরিসংখ্যান রিপোর্ট বলছে দেশে সামগ্রিক শিক্ষার হার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশ। এবছরে স্কুলে ভর্তি হওয়া ছেলেমেয়েদের প্রায় ৯৫ শতাংশের বয়স ৬ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। যদিও শিশুদের ভর্তির হার প্রায় তিন শতাংশ কমেছে।

জানা গিয়েছে, ৫৯৬টি প্রত্যন্ত গ্রামের ৫৪ লক্ষ ৬ হাজার ৫২৭ জন স্কুলে গিয়েছে। এদের প্রত্যেকেরই তিন থেকে ১৬ বছরের মধ্যে বয়স। এই ইতিবাচক ছবির মধ্যেও কিছু ব্যর্থতা দৃশ্যমান, ইতিহাস বলছে ২০০৭এই স্কুলে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৯৫ শতাংশ, ২০১৮ র ছবিটা একদমই তাই। ২০০৮ এ ১৫ -১৬ বছরের ছাত্রীদের মধ্যে ২০ শতাংশ স্কুলছুট। এবারও ১৩.৫ শতাংশ ছাত্রী স্কুলছুটের তালিকায় যোগ হয়েছে। ২০০৬ সালে ১১-১৩ বছরের মেয়েদে র প্রায় ১০.৩ শতাংশ স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে এই ছাত্রীদের মধ্যে স্কুল ছাড়ার প্রবনতা অনেকটা কম, পরিসংখ্যান বলছে ৪.১ শতাংশ ছাত্রী এবার এই তালিকায় রয়েছে। দেশের মাত্র চার রাজ্যের প্রতিটির ছাত্রী সংখ্যার ৫ শতাংশ ড্রপ আউট।

মোদির শাসনে দেশের শিক্ষার হাল কেমন? সুফল পাবে আগামীর ভারত?বলা বাহুল্য, স্কুলগুলিতে এখন পরিশ্রুত পানীয় জল থেকে শুরু করে শৌচালয়, পিরিয়ড নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি বেড়ে যাওয়ায় ছবিটা অনেক ইতিবাচক, তাই ছাত্রী সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে। হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের অন্তত ৯০ শতাংশেরও বেশি স্কুলে রয়েছে বাচ্চাদের উপযোগী খেলার মাঠ। মাঠটি স্কুল লাগোয়া বা সামান্য দূরে, স্বাভাবিকভাবেই পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করতেও শিশুদের অসুবিধা হয় না, তাই ড্রপ আউট হওয়ার ভয়ও নেই। গোটা দেশে অন্তত ১০টি স্কুলের মধ্যে আটটি তে এই সুবিধা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিস্কুলের মধ্যে খেলার যাবতীয় উপকরণও বর্তমান।

গ্রামীণ ভারতের স্কুলগুলিতে বিবিধ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা দিনে দিনে বাড়ছে তাই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে তারাও। এখন শুধু ভাল ফলাফল করে নজর কাড়ার অপেক্ষা। তাহলে শিক্ষাগত যোগ্যতার মানে এগিয়ে যাবে গ্রামের স্কুল, যার সুফল পাবে আগামীর ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =