কলকাতা: অভিভাবকদের আপত্তির কথা মাথায় রেখে আইসিএসই-আইএসসির বাকি সমস্ত পরীক্ষাব ‘ঐচ্ছিক’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ পড়ুয়ারা চাইলে পরীক্ষা দিতেও পারবে, আবার না চাললে রয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা৷ এই মর্মে আজ বিকালে জারি হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি৷ পড়ুয়াদের আপত্তির কথা মাথায় আইসিএসই-আইএসসির বাকি সমস্ত পরীক্ষাব গুরুত্বহীন হলেও বাংলায় উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও কি ঠিক একই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে? এবার এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ সর্বভারতীয় পরীক্ষার উপর নজর রেখে রাজ্য৷ খবর রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রে৷
আরও পড়ুন- BREAKING: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা ‘ঐচ্ছিক’ ঘোষণা কাউন্সিলের
প্রয়োজনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে, এই মর্মে ইতিমধ্যেই নিজেদের মতামত রাজ্যকে জানিয়েছেন বাংলার বিশিষ্টরা৷ বাংলার বিশিষ্টদের সুপারিশের পর এবার সর্বভারতীয় আইসিএসই-আইএসসির বাকি সমস্ত পরীক্ষা ঐচ্ছিক হওয়ার ঘোষণা পর বাংলায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ ঘিরে তৈরি হয়েছে ঘোর জল্পনা৷
আরও পড়ুন- BREAKING: আরও পিছিয়ে যাবে উচ্চমাধ্যমিক? রাজ্যকে মাতামত জানালেন বিশিষ্টরা
করোনা আবহে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা কবে হবে? এই নিয়ে এবার শুরু হয়েছে জোর চর্চা৷ সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলির উপর নজর রাখতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার৷ আজ প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, আইসিএসই-আইএসসির বাকি সমস্ত পরীক্ষাব ঐচ্ছিক৷ চাইলে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারেন, আরার নাও পারেন৷ কিন্তু, কারা পরীক্ষায় বসবেন, কারা বসতে চাইছেন না, এই মর্মে আগামী ২২ জনের মধ্যে সমস্ত মতামত কাউন্সিলকে জানাতে হবে৷ সেই অনুযায়ী মূল্যায়ন তৈরি হবে বলেও জানানো হয়েছে সর্বভারতীয় বোর্ডের তরফে৷
আরও পড়ুন- মহাকাশ গবেষণার স্কুল পড়ুয়াদের সুযোগ দিচ্ছে ISRO, শুরু প্রতিযোগিতা
আইসিএসই-আইএসসির এই ঘোষণার পর কৌতূহল তৈরি হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘিরে৷ উচ্চমাধ্যমিকে বাকি তিনটি পরীক্ষা ২, ৬, ৮ জুলাই হওয়ার কথা৷ শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সর্বভারতীয় স্তরে বোর্ডের পরীক্ষার ওপর নজর রাখছে শিক্ষা দফতর৷ যে সর্বভারতীয় পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে খবর৷ সর্বভারতীয় স্তরে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তার সঙ্গে রাজ্য সামঞ্জস্য রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে৷ যাতে পড়ুয়াদের কোনভাবেই ক্ষতি না হয়৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আইসিএসই-আইএসসির বোর্ডের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
আরও পড়ুন- আরও বাড়ল স্কুল বন্ধের মেয়াদ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে বিশিষ্ট জনের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত কি না৷ জয় গোস্বামী থেকে শুরু করে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শুভাপ্রসন্ন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, পবিত্র সরকার-সহ বিশিষ্টরা জানিয়েছেন, এই সময়ে পরীক্ষা প্রয়োজনে পিছিয়ে যেতে পারে৷ এবার আইসিএসই-আইএসসির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিত রাজ্যও নতুন করে ভাবনা চিনতা করতে পারে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর৷ সেই ভাবনার উপর নির্ভর করছে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ৷