বাংলার ২০০০টি স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা, বিজ্ঞপ্তি স্কুল শিক্ষা দফতরের

বাংলায় আইসিটি শিক্ষকদের অভিযোগের কথা মাঝেমধ্যেই শোনা গেছে। কম্পিউটার শিক্ষাকে বিষয়ভিত্তিক করার দাবি তাঁর বহুবারই জানিয়ে এসেছেন। সেই দাবি পূরণ না হলেও সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে সারা বাংলার বিভিন্ন স্কুলে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) শিক্ষা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দফতর। ৫ মার্চ তাদের তরফে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটি।

কলকাতা: বাংলায় আইসিটি শিক্ষকদের অভিযোগের কথা মাঝেমধ্যেই শোনা গেছে। কম্পিউটার শিক্ষাকে বিষয়ভিত্তিক করার দাবি তাঁর বহুবারই জানিয়ে এসেছেন। সেই দাবি পূরণ না হলেও সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে সারা বাংলার বিভিন্ন স্কুলে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) শিক্ষা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দফতর। ৫ মার্চ তাদের তরফে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কোন জেলার কোন স্কুলে আইসিটি শিক্ষা চালু হচ্ছে, তা উল্লেখ করা হয়েছে। সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। এই জেলার ২৪৬টি স্কুলে চালু হতে চলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা। এমনকী, প্রতিটি জেলায় কতগুলি স্কুলে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সেই সংখ্যাও উল্লেখ রয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে। আলিপুরদুয়ারে ১৬টি, বাঁকুড়ায় ১১৬টি, বীরভূমে ৬৮টি, কোচবিহারে ৪৯টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২৭টি, হুগলীতে ১৩১টি, হাওড়ায় ১৩১টি, জলপাইগুড়িতে ৪২টি, ঝাড়গ্রামে ৩২টি, কালিম্পঙে ৯টি, কলকাতায় ১৫৬টি, মালদহে ৩০টি, মুর্শিদাবাদে ৮৬টি, নদীয়ায় ৯৩টি, উত্তর ২৪ পরগণায় ২৪৬টি, পশ্চিম বর্ধমানে ৪৭টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১১৯টি, পূর্ব বর্ধমানে ৭৩টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ১১৯টি, পুরুলিয়ায় ৮৮টি, শিলিগুড়িতে ৩৯টি, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১৯৩টি এবং উত্তর দিনাজপুরে ৪৮টি। মোট ২০০০টি স্কুলে চালু হবে এই শিক্ষা।

রাজ্যে আইসিটি শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও সম্মানজনক বেতনের দাবি উঠেছিল চলতি বছরেই। ছয় হাজারেরও বেশি আইসিটি কম্পিউটার শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই দাবিতে আন্দোলনও করেছিলেন। পূর্ব বর্ধমানে বৈঠকও হয়েছিল তাঁদের। কম্পিউটার শিক্ষাকে অবিলম্বে বিষয়ভিত্তিক করার কথাও জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে আইসিটি শিক্ষকদের অনেকেই এই কথা বলেন যে, রাজ্য সরকার এই বিভাগে প্রচুর টাকা খরচ করা সত্ত্বেও কার্যক্ষেত্রে তা লাভজনক কিছু হচ্ছে না। পড়ুয়ারা গুরুত্বও দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের একাংশ।  এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে বাংলার বিভিন্ন জেলায় মোট ২০০০টি স্কুলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি চালু করার উদ্যোগ কতটা কার্যকরী হয়, সেটা সময় বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − 1 =