খানাকুল: বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র৷ বরাবর যেখানে শিশুদের বেড়ে ওঠা এই কেন্দ্রগুলির স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করার কথা বলা হয়ে আসছে, সেখানেই এমন এক অঙ্গনওয়াড়ি হদিস পাওয়া গেল যেখানে, পড়াশোনা চলছে গোয়ালে৷ আর রান্না হচ্ছে গোয়ালের পাশে রাস্তার উপর৷ সেটা কলকাতা থেকে খুব একটা দূরে নয়৷ খানাকুলে৷ ঠাকুরানিচক অঞ্চলের মল্লিকপাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই অবস্থায় কাটছে শিশুদের ছাত্রাবস্থা৷
ঠাকুরানিচক অঞ্চলে মোট ৩৩ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে৷ তার মধ্যে ১২টির পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর৷ মল্লিকপাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যেই দিনের পর দিন চলছে পঠন-পাঠন৷ স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, এই পরিবেশে যে কোনও শুরুর বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে৷ স্বভাবতই অভিভাবকরাও তাদের সন্তানকে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি৷ বেশির ভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জরাজীর্ণ৷ শিশুদের মাথা গোঁজার জন্য গোয়ালের মধ্যেই চলছে পঠন-পাঠন, খাওয়া-দাওয়া৷ রান্না করার জায়গাও বেহাল৷ মাথার উপর সেরা ত্রিপল টাঙানো হয়েছে৷ বৃষ্টি হলে শিশুরা ভিজে যায়৷ চারিদিকে টিকটিকি, আরশোলা, মশা আর সঙ্গে দুর্গন্ধ৷
এমন দুরবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান৷ মাত্র নয় মাস তিনি প্রধান হয়েছেন৷ এরই মধ্যে দুটো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হয়েছে এলাকায়৷ বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কেন্দ্রগুলির সংস্কার করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি৷ খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবাশিস মণ্ডল জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করা হয়েছে৷ এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি৷