নারী শিক্ষায় নজির বাংলার, ছাত্রীর সংখ্যায় টেক্কা রাজ্যগুলিকে

নারী শিক্ষায় নজির বাংলার, ছাত্রীর সংখ্যায় টেক্কা রাজ্যগুলিকে

কলকাতা: নারী শিক্ষায় দেশের অন্যান্য প্রধান রাজ্যগুলিকে টেক্কা দিল পশ্চিমবঙ্গ। কোন রাজ্য স্তরের পরিসংখ্যান নয়, এমন তথ্য দিচ্ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের সমীক্ষা। অতএব কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী দেশের বাকি রাজ্যগুলির থেকে নারী শিক্ষায় অনেকটা এগিয়ে আমাদের বাংলা। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বাংলায় স্কুল স্তরে ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। 

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের ‘ইউনিফাইড ডিস্ট্রাইক্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস’-এর একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অরুণাচল অসম এবং মেঘালয়ের মত রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের স্কুল স্তরে ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। যদিও বাকি প্রধান রাজ্যগুলি থেকে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই এগিয়ে সংখ্যায়। সমীক্ষা বলছে, বাংলায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার বেশি। অন্যদিকে স্কুল ছুটের হার ছাত্রদের অনেক বেশি। নারী শিক্ষায় বাংলার এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের নারীকেন্দ্রিক অনেক প্রকল্প। এর পাশাপাশি রয়েছে মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি। অন্যদিকে সংসারের রোজগার বৃদ্ধির জন্য ছেলেদের অনেক কম বয়স থেকে কাজে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার জন্য শিক্ষায় তাদের মান খারাপ হচ্ছে বলে অনুমান। যদিও আগের তুলনায় নারী শিক্ষার প্রসার অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিকভাবে এই সমীক্ষা যথেষ্ট ভালো উদাহরণ রাখছে।

আরও পড়ুন- অধীরের বিরুদ্ধে ‘ক্ষোভ’ উগড়ে ‘অপমানের’ জবাব, পদ ছাড়লেন সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র

আসলে আগে বাড়ির মেয়েদের পড়াতে পাঠানো হত না বা হলেও সেই সংখ্যাটা অনেক কম। কিন্তু এখন যে পরিবারগুলি এমন পদক্ষেপ নিতেও তারাও বাড়ির মেয়েদের পড়াশোনা করতে পাঠাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই নারী শিক্ষার হার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনুমান করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর পাশাপাশি রয়েছে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী। এই সমস্ত প্রকল্পের চাহিদা একদিকে যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে মেয়েদের স্কুলে আনতেও এই প্রকল্প গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে, এখনো পর্যন্ত শিশু শ্রমিক হিসাবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের চাহিদা তুঙ্গে। তাই কিছুটা হলেও ছেলেদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে এবং স্কুল ছাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *