কোল্লাম: পরীক্ষা দিতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানি। নাস্তানাবুদ হতে হল ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রীদের। অন্তর্বাসে ধাতব হুক থাকায় মেটাল ডিটেক্টরে ‘বিপ’ শব্দ শোনা যাচ্ছিল। অভিযোগ, ঠিক সেই কারণেই রবিবার কেরলের কোল্লাম জেলায় নিট দিতে যাওয়া ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হল।
আরও পড়ুন- দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যাদবপুর, কলকাতা! উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী
এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন এক ছাত্রীর বাবা। এর পরেই খবরটি প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রাজ্য মহিলা কমিশন। এই ঘটনার পর কেরলের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) দিকে আঙুল তুলেছেন। সোমবার টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘এজেন্সির তরফে এটা বিরাট বড় গাফিলতি। চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।’’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখেও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিন্দু। যে সংস্থাকে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিও জানিয়েছেন।
ছাত্রীদের চূড়ান্ত অস্বস্তির মধ্যে ফেলে নিট দিতে আসা ছাত্র ও পুরুষ পরীক্ষকদের সামনে তাঁদের অন্তর্বাস খুলে স্টোর রুমে রাখতে বাধ্য করেন মহিলা নিরাপত্তাকর্মীরা। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, অন্তর্বাস খুলতে আপত্তি জানানোয় তাঁর মেয়েকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘কোনটা তোমার কাছে বড়? অন্তর্বাস না পরীক্ষা?’’ এই ঘটনায় শোরগোল পরতেই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেন। অপর এক ছাত্রীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে ক্লাস এইট থেকে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এর পরেও সে ঠিক ভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি। এর জন্য দায়ী পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিস্থিতি। প্রায় নব্বই শতাংশ ছাত্রী এহেন হেনস্থার শিকার হন বলেও অভিযোগ। অভিভাবকদের দাবি, টাকার ব্যাগ, বেল্ট, টুপি, গয়না, জুতোর ব্যাপারে এনটিএ-র নির্দেশিকা থাকলেও অন্তর্বাস বা হুকের ব্যাপারে কোনও কিছু উল্লেখ নেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>