উচ্চমাধ্যমিকে মোবাইল-সহ গুচ্ছ জরুরি নির্দেশিকা শিক্ষা সংসদের

উচ্চমাধ্যমিকে মোবাইল ফোন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা। শুধুমাত্র মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার জন্যই পরীক্ষা চলাকালীন প্রত্যেকটি ঘরে একজন করে শিক্ষক নজরদারিতে থাকবেন।পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় মৌখিকভাবে মোবাইল ফোন নিয়ে সতর্ক করতে হবে শিক্ষক বা পুলিশকে।

কলকাতা: আগামী ১২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত সাধারণ নির্দেশিকা-

১) মাধ্যমিক থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে মোবাইল নিয়ে আরও কড়াকড়ি অবস্থান নিতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। শুধুমাত্র মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার জন্যই পরীক্ষা চলাকালীন প্রত্যেকটি ঘরে একজন করে শিক্ষক নজরদারিতে থাকবেন।পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় মৌখিকভাবে মোবাইল ফোন নিয়ে সতর্ক করতে হবে শিক্ষক বা পুলিশকে। এরপরেও কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ধরা পড়লে তাঁর আজীবন রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত বাতিল হতে পারে।

২) সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।

৩) বৈধ অ্যাডমিট কার্ড থাকলেই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। কোনো কারণবশত অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে না থাকলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

৪) পরীক্ষা চলাকালীন কোনো পরীক্ষার্থী যদি কোনো একদিন অ্যাডমিট কার্ড দেখাতে না পারে সেক্ষেত্রে পরদিন কার্ড দেখাতে পারবে, এই মর্মে লিখিত দিয়ে সেন্টার সেক্রেটারির অনুমতিক্রমে সেদিন পরীক্ষা দিতে পারবে। তবে সেই পরীক্ষার্থী পরদিনও যদি অ্যাডমিট দেখাতে না পারে তাহলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য করা হবে।

৫) পরীক্ষার্থী সম্প্রতি কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে বা আক্রান্ত, সেক্ষেত্রে তাঁর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হবে এবং লেখার জন্য তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে ডট পেন ব্যবহার করতে হবে। ওই পরীক্ষার্থীর  ব্যবহৃত উত্তরপত্র সহ অন্যান্য জিনিসপত্র, করাতে সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ থাকবেন। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে একটি সংশাপত্র দিতে হবে এবং একটি খামের উপর 'অসুস্থ পরীক্ষার্থী' কথাটি উল্লেখ করে ওই খামে আলাদা করে তাঁর উত্তরপত্রটি পাঠাতে হবে।

৬) দৃষ্টিহীন বা এমন পরীক্ষার্থী যারা লেখার জন্য অন্যের সাহায্য নেবে, সেই সাহায্যকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা একাদশ শ্রেণীর বেশি হলে গ্রাহ্য হবেনা। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত তথ্য সহ, নাম, ঠিকানা এবং ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো সহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপসচিকে আগাম জানিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে ওই পরীক্ষার্থীকে একটি আলাদা ঘরে বসানো হবে যেখানে নজরদারির জন্য একজন ইনভিজিলেটর থাকবেন। 

এইধরণের পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত একঘন্টা সময় দেওয়া হবে।

৭) সাধারণত অ্যাডমিট কার্ডে উল্লেখ নেই এমন কোনো বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে প্রয়োজনে সেন্টার সেক্রেটারি বা ভেন্যু সুপারভাইজার, সংসদের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপসচিবের সঙ্গে আলোচনা করে এবং পরীক্ষার্থীর থেকে 'আন্ডারটেকিং' নিয়ে তাঁকে সেই বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

৮) কোনো পরীক্ষার্থী কোনও বিশেষ কারণে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র না বসতে পারলে/চাইলে সেই বিশেষ কারণ লিখিত আকারে জানিয়ে শুধুমাত্র ওইদিনই সেই পরীক্ষার্থীকে অন্য কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া যাবে। পরবর্তী পরীক্ষাগুলি তাঁকে তাঁর নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকেই দিতে হবে। ওই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রটি 'অ্যাপিয়ার্ড ফ্রম এ নন-অ্যালটেড সেন্টার/ভেন্যু' লেখা খামে আলাদা করে পাঠাতে হবে। খামের ভেতর একটি রিপোর্ট ও পরীক্ষার্থীর লিখিত বিবৃতিটি দিয়ে দিতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *