কলকাতা: জ্যোতিষচর্চার কাছে বিজ্ঞান তুচ্ছ, আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ এবার বললেন, গীতা বিজ্ঞান! বিজ্ঞানের তুলনায় জ্যোতিষ ও গীতাকে এগিয়ে রেখে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মোদির মন্ত্রিসভায় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়া রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক৷ তাও আবার বাংলায় দাঁড়িয়ে৷
খড়গপুর আইআইটি ৬৫ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক৷ সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকেই এবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন দেশের শিক্ষামন্ত্রী৷
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ভাগ্যের উপর নির্ভর করি না৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী এক ফোঁটা জলের জন্য হাহাকার করছে৷ আসলে আমাদের যে অস্তিত্ব ছিল, সেগুলি ভুলে যাওয়ার কারণেই জল সংকট তৈরি হয়েছে৷ একসময় আমরা প্রতিটি গাছকে দেবতা মানতাম৷ কাজের সময় বৃক্ষরোপণ করতাম৷ নদীকে শ্রদ্ধা করতাম, মা বলতাম৷ কারণ সেখান থেকে আমরা জীবন ধারণ করি৷ কিন্তু বিদেশীরা আমাদের তাচ্ছিল্য করে বলতো, আমরা ভাগ্যের ভিখারি৷ আজ তাঁরাও স্বীকার করেছে ভারতের চিন্তাভাবনা বিজ্ঞানভিত্তিক ছিল৷ এই জায়গাটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বোচ্চ স্থান৷ তবু আমি মনে করি কেউ একটা কথাই দ্বিমত করবেন না৷ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক শক্তিশালী হয়েছে এই দেশ৷ যদি রাম সেতুর কথা বলি, এটা কোন আমেরিকা, ব্রিটেন বা জার্মানির ইঞ্জিনিয়ার করেনি৷ এটা আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা নিয়েছিলেন৷ যাঁতে সারা পৃথিবী স্তম্বিত৷ এইসব দেখে আমার মনে হয় প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি উন্নত ছিলাম৷’’
এরপরই গীতার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘উন্নয়নের দিক থেকে আমরা চিন কে ছাপিয়ে গিয়েছি৷ পৃথিবীতে আমরা এখন এক নম্বর৷ আমরা গীতা ও বিজ্ঞান চর্চা একসঙ্গে করি৷ এই দেশেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গীতা পড়ানো হচ্ছে৷ এখন কারণ গীতা বিজ্ঞান৷ আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলনের এমন একটা বিজ্ঞান যাতে মানুষ ভাবতে শুরু করে যে আমাদের পরিচালিত করে কোনও এক শক্তি৷ সেই কারণেই হিন্দুস্থান পৃথিবীতে বিশ্বগুরু হিসেবে পরিচিত৷’’