কলকাতা: স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে ‘বিপ্লব ও সন্ত্রাসবাদ’ অধ্যায়ে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে তকমা আগেই দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ ২০১৪ সাল থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ক্ষুদিরামকে চিনে আসছে বাংলার পড়ুয়ারা৷ ২০১৪ থেকে চলতে থাকা সেই বিতর্ক অবশেষে কাটল৷ ‘সন্ত্রাসবাদী’ ক্ষুদিরামকে এবার ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী’ বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর৷ রিভিউ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই পদক্ষপ নিতে সময় লেগে গেল পাঁচ বছর!
‘সন্ত্রাসবাদী’ ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে গোটা বাংলাজুড়ে বিতর্ক চললেও সেই ‘বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী’ শব্দে খুব একটা আপত্তি দেখছেন না রিভিউ কমিটির সদস্যরা৷ তবে, ক্ষুদিরামকে ‘বিপ্লবী’ বলার সুপারিশ পেশ করে রিভিউ কমিটি৷ আর তার জেরে ৫ বছর পার ‘সন্ত্রাসবাদী’ থেকে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী’ তকমা দেওয়া হল বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে৷
আগামী বর্ষের জন্য অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বই ‘অতীত ও ঐতিহ্য’ ছাপানোর কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হলেও নতুন শব্দ যোগ করে বই ছাপানোর ছাড়পত্র দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর৷ কমিটির সুপারিশের পর নতুন করে বই ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে৷
সূত্রের খবর, রিভিউ কমিটি শিক্ষা দপ্তরকে বিপ্লবী আন্দোলনের সেনানী বলে উল্লেখ করার কথা সুপারিশ করেছে৷ সন্ত্রাসবাদী শব্দটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি৷ এই মর্মে সুপারিশ পাঠানো পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, পাঠ্য বই থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’টি তুলে দেওয়া হবে কি না, তা চূড়ান্ত করতে গিয়েই কেন ৫ বছর কেটে গেল? পাঁচ বছর ধরে কি শিখল পড়ুয়ারা?
চলতি বছর ১০ জুন অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ক্ষুদিরামকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার ঘটনায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বাম বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ভুল সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ গঠিত হয় রিভিউ কমিটি৷ সেই কমিটি তাদের সুপারিশ পেশ করেছে৷