মুম্বই: প্রথমবারেই বাজিমাত৷ সবরকম বাধা পেরিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেই উত্তীর্ণ মহারাষ্ট্রের এক কৃষকের ছেলে৷ তাও আবার অষ্টম স্থান দখলে রাখলেন শারান গোপিনাথ কাম্বলে৷
করোনার কবলে দু’হাজার বিশ সালটি বিষাক্তই ছিল৷ তার মাঝেই বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের চলে যাওয়া ছাড়াও নানা চড়াই উতরাইেয়র মধ্যেই লকডাউনে ঘরবন্দি হয়েই বছরটি কেটেছে৷ খারাপের গ্রাফটা যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন কৃষকের ছেলে শারানের একবারেই ইউপিএসসি ক্র্যাক করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের মতো কিছু ভালো খবরও হয়েছে৷ মহারাষ্ট্রের বারশি তালুকের সোলাপুর গ্রামে সপরিবার বাস এই যুবকের৷ দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে তাঁর এই সাফল্যে খুশি গ্রামবাসীরা৷ পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতেছেন তাঁরাও৷
এক চাষির ঘর থেকে ইউপিএসসিতে এই সাফল্যের যাত্রাপথটি যে সুখকর ছিল না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ শারান জানালেন, তাঁর বাবা মাঠে চাষ করে খুব সামান্যই রোজগার করেন৷ আর তাঁর মা সুধামতী সবজি বিক্রি করেন৷ ভীষণ আর্থিক কষ্টের মধ্যে তাঁর পরিবার একবেলার খাবার জোটাতে না পারত না৷ তারপরও তাঁরা শারানকে পড়তে এবং সবসময় পরিশ্রম করতে উতসাহ দিয়ে গিয়েছেন৷
শারানের বাবা গোপিনাথ কাম্বলে জানালেন, ‘আমার ছেলে ঠিক কি করেছে, আমি জানি না৷ তবে এটুকু জানি যে ও যেটা করেছে, তাতে ও সেরা৷’ শারানের দাদা কিছুদিন আগেই বিটেক পড়া শেষ করেছেন৷ এখন তিনি চাকরি করে পরিবারকে সাহায্য করছেন৷ এটাই শারানকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে কোনওরকম বাধা ছাড়াই৷ ২০১৮ সালে ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে শারান এমটেক পড়া শেষ করেন৷ এরপরই তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে অনেক টাকার চাকরির প্রস্তাব পান৷ বছরে ২০ লক্ষ টাকার সেই প্রস্তাব নাকচ করে তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় ফোকাস করেন৷ আর প্রথমবারেই অষ্টম স্থান দখল করে জয়ের হাসিও হাসেন৷