মুছতে হবে কৃষক-বাবার যন্ত্রণা, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চাষার ব্যাটা’কে গবেষণায় আমন্ত্রণ!

মুছতে হবে কৃষক-বাবার যন্ত্রণা, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চাষার ব্যাটা’কে গবেষণায় আমন্ত্রণ!

লখনউ:  উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল। লাখিমপুর জেলার সারাসান গ্রাম৷ তবে বিশ্বায়নের যুগে সেই গ্রাম থেকেও যোগাযোগ করা যায় বিশ্বের সঙ্গে৷ সেই গ্রাম থেকে পড়াশোনা করে সিবিএসসির দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৮.২ শতাংশ পেয়েছেন বছর আঠারোর অনুরাগ তিওয়ারি৷ দ্বাদশে ফসল হওয়ার পর নতুন করে শুরু হয়েছে স্বপ্নের উড়ান৷  গ্রামের মেঠো পথ থেকে এবার মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ডাক পেলেন অনুরাগ৷ তাও আবার স্কলারশিপের মাধ্যমে৷

কৃষক পরিবারের সন্তান অনুরাগ তিওয়ারি জানিয়েছেন, আমেরিকার করোনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে  উচ্চ শিক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷ ভবিষ্যতে ইকোনমিক্স নিয়ে পড়ার জন্য করোনাল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে নির্বাচিত করেছে৷ অনুরাগ জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণি পাস করার পর আমেরিকাতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার জন্য স্যাট পরীক্ষা দেন৷ সেখানে তিনি ১,৩৭০ নম্বর পান৷ তারপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জানতে পারেন স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে৷

তবে এই স্বপ্ন পূরণের রাস্তাটা মোটেই সহজ ছিল না। তাঁকে সিতাপুরে চলে যেতে হয়েছিল পড়াশোনা করতে। সেখানে একটা আবাসিক স্কুলে পড়াশোনা করতেন। বাড়ির আর্থিক অবস্থা মোটেই ভালো  নয়৷ বাবা পেশায় কৃষক৷  রয়েছে ৩ বোন৷ তার মধ্যে এক বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷

তিনি বলেন, বাবা চাষি। মা ঘরের কাজ করেন। বাইরে সিতাপুরে পড়তে পাঠাতে বাবা-মা কখনই রাজি ছিল না। কারণ তাঁরা মনে করেছিলেন, একবার পড়াশোনায় বাইরে গেলে আর কোনও দিন চাষবাসের জন্য ফিরব না। কিন্তু আমার দিদিরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁরা বাবা-মাকে বুঝিয়েছিলেন, পড়াশোনার জন্য আমাকে বাইরে পাঠানো উচিত। এখন আমার সাফল্যে সবাই খুশি৷অনুরাগ জানিয়েছেন, অর্থনীতি নিয়ে মার্কিন দেশে পড়ার পর বাবার মতো কৃষকদের সমস্যা সমাধানে পথ খুঁজবেন৷ আর সেই হবে তাঁর প্রধান লক্ষ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =