মাধ্যমিকে ৪৬ বার ফেল! পাশ না করায় হয়নি বিয়ে! তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বৃদ্ধ! এ যেন ধনুক ভাঙা পণ!

মাধ্যমিকে ৪৬ বার ফেল! পাশ না করায় হয়নি বিয়ে! তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বৃদ্ধ! এ যেন ধনুক ভাঙা পণ!

 

রাজস্থান: উনিশটিবার ঘায়েল হয়ে গঙ্গারাম পর্যন্ত থেমেছিল! কিন্তু শিবচরণ যাদব? ৪৬ বার মাধ্যমিকে বসেছেন! না গঙ্গারামের মতই সাফল্যের স্বাদ তিনি পান নি… কিন্তু তাতে কী?  মাধ্যমিক পাশের ধ্নুক ভাঙ্গা পণ নিয়ে এখনও পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন ৮০ ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধ।

রাজস্থানের আলোয়ারের বাসিন্দা শিবচরণ যাদব। বয়স ৮০ পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন।  বারে বারে দশম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা দিলেও পাশ করার নাম নেই একবারও। এখনও পর্যন্ত মোট ৪৬ বার তিনি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছেন। কিন্তু, মনের জোর অটুট!। সেই মনের জোরকে হাতিয়ার করেই একবার, দুবার করে ৪৬ বার পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছেন…  

রাজস্থান বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের তত্ত্বাবধানে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেন শিবচরণ যাদব। যা বাংলার মাধ্যমিকের সমতুল্য পরীক্ষা। এই নিয়ে ৪৬ বার ওই পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছেন বৃদ্ধ। তবে পাশ করতে পারেননি। তবে, এতবার পরীক্ষা দেওয়ার পর উন্নতি যে হয়নি সেটা কিন্তু বলা যাবেনা। প্রথমদিকে যেখানে সব বিষয়েই তিনি ফেল করতেন, পরের দিকে দেখা গেছে যে এক-দুটি বিষয়ে কোনওক্রমে পাশ নম্বরটুকু তুলতে পেরেছেন তিনি। এটাই যা স্বস্তির…
 
কিন্তু কেন এতবার পরীক্ষা দিচ্ছেন বৃদ্ধ? এর উত্তরে নিজের এক ধনুকভাঙা পণের কথা জানিয়েছেন শিবচরণ। কি সেই পণ? বরাবরের ইচ্ছে ছিল মাধ্যমিক পাশ না করে বিয়ে করবেন না। সেই ইচ্ছেপুরণের জন্য বছর বছর মাধ্যমিকে বসেওছেন। কিন্তু, নাহ…  পাস করা হয়নি। অগত্যা আর বিয়ে করাও হয়নি শিব চরণের…

বয়স যত বাড়ছে, ততই কমছে মনে রাখার ক্ষমতা। এমনকি লিখতে পারার ক্ষমতাও কমছে। কিন্তু, তাতেও দমে যান নি বৃদ্ধ। বরং প্রতিবার নতুন করে পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি… যদিও এই বয়সে এসে বিয়ের জন্য পরীক্ষা তিনি দিচ্ছেন না…

বৃদ্ধের কথায়, এখন তো আর বিয়ে করার সুযোগ নেই। তবে বার বার পরীক্ষায় বসে বিশ্বরেকর্ড করা যায় কি না, আপাতত সেই লক্ষ্যেই পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন…  কতদিনে সাফল্যের মুখ দেখবেন, এখন তারই অপেক্ষায় শিবচরণ যাদব। গঙ্গারাম যেখানে ১৯ বারেই ঘায়েল, সেখানে এমন জেদি শিবচরণকে দেখলে সুকুমার রায় বোধহয় অন্য কিছুই লিখতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =