কেন থমকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ? জবাব চাইতে নয়া অভিযান সফল প্রার্থীদের

অপেক্ষারত পদপ্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। অপেক্ষারত প্রার্থীদের অনেকেরই এসএসসি পরীক্ষায় বসার ন্যূনতম বয়সসীমা অতিক্রান্ত হতে চলেছে এবছরই। তাদের বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত এবং দ্রুত করতে হবে। দাবি তালিকাভুক্ত অপেক্ষারত প্রার্থীদের।

কলকাতা: সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত ও অনুমােদিত রাজ্যের উচ্চপ্রাথমিক স্কুল গুলিতে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। অথচ দীর্ঘদিন (২০১৩ -২০১৬) ধরে বন্ধ রয়েছে নিয়ােগ প্রক্রিয়া। এই পদগুলিতে সহশিক্ষক নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে এবার শিক্ষা দপ্তরের দ্বারস্থ হলেন তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা। 

পদে নিয়োগের আবেদন লিখিত আকারে শিক্ষা দপ্তরে জমা দিয়েছেন তাঁরা। 

তাঁদের দাবিগুলি হল-

১) ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার বহু শিক্ষক অবসর নিয়েছেন এবং সেই অনুপাতে বহু শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। তাসত্ত্বেও ওই শূন্যপদ গুলিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

২) অনুমােদিত বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার নিয়ােগে তালিকাভুক্ত অপেক্ষারত চাকুরী প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হোক। 

৩) প্রচুর অপেক্ষারত শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা বিষয়ের পদ প্রার্থীরা সংরক্ষণ তালিকায় আছেন। তাই শুধুমাত্র সেই পদেই তাঁরা চাকরি পাবেন। সেক্ষেত্রে এবিষয়টিও বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

৪) নিয়ম মেনে মেরিট লিস্টে অপেক্ষারত প্রার্থীদের ১.১:৪ অনুপাতে নিয়োগ করতে হবে।

৫) রাজ্যে উচ্চপ্রাথমিক স্কুলগুলিতে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষা বিষয়ে আপডেট ভ্যাকেন্সিতে নিয়োগ করতে হবে।

৬) অপেক্ষারত পদপ্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।

৭) অপেক্ষারত প্রার্থীদের অনেকেরই এসএসসি পরীক্ষায় বসার ন্যূনতম বয়সসীমা অতিক্রান্ত হতে চলেছে এবছরই। তাদের বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত এবং দ্রুত করতে হবে।

৮) আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রার্থীদের দাবিগুলির প্রেক্ষিতে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে জানাতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে।

তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন প্রার্থীরা। যদিও আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছে শিক্ষাদপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *