কলকাতা: আগামী কয়েক বছরে যদি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন আসে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ ইঙ্গিত মিলছে যে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা বেসরকারিকরণের পথে যেতে পারে! অর্থাৎ, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র থেকে সরে আসতে পারে রাজ্য সরকার! জানা গিয়েছে, এর জন্য ইতিমধ্যেই একটি খসড়া নীতি তৈরি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। যদিও তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে সরকারের তরফে কেউ কথা বলেনি। ‘পিপিপি’ মডেলে জোর দেওয়া হচ্ছে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে।
আরও পড়ুন- ২৭ তারিখের ভোটের গণনা কবে? উত্তর মিলল
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাজ্য সরকার শিক্ষাঙ্গনের জমি, বিল্ডিং সহ সব বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে তারা প্রত্যক্ষভাবেই বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে বেসরকারি হাতেই তুলে দেওয়া হবে সরকারি জমি এবং বাড়ি। আগামী দিনে বেসরকারি সংস্থা ঠিক করবে যে স্কুলে কোন ভাষায় পড়ানো হবে। বাংলা না ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল হবে। আবার কোন বোর্ডের অন্তর্গত হবে সেই স্কুল তাও ঠিক করবে সেই বেসরকারি সংস্থাই। এক কথায়, বিনিয়োগ যে করবে, সিদ্ধান্ত তার হাতেই চলে যাবে। এক্ষেত্রে নাম মাত্রই ‘পাবলিক-প্রাইভেট’ উদ্যোগ হতে চলেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কী। মনে করা হচ্ছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলিকে আর রাজ্য সরকার চালাতে চাইছে না। তাই সেইসব বাড়ি, জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাদের শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে অন্য বিদ্যালয়ে। তাই অব্যবহৃত জমি এবং বাড়ি করে দেওয়া হবে বেসরকারিকরণ।
এও জানা গিয়েছে, কাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে তা বিচার করে দেখবে রাজ্য সরকার। শিক্ষা জগতে কাজের গুনগত মান এবং আর্থিক অবস্থা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কিছুদিন আগেই দেশের অন্যতম ধনী শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং তাঁর ছেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই বৈঠকেই শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত গোটা বিষয়েই কিছুই স্পষ্ট নয়। কারণ এই ব্যাপারে মুখ খোলনি সরকারের তরফের কেউই।