কলকাতা: করোনা আবহে উচ্চমাধ্যমিকে ঢালাও নম্বর৷ নম্বরের প্রতিযোগিতার জেরে এখনও ফাঁকা বহু কলেজের আসন৷ ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েও পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি বহু পড়ুয়ারা৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দ্বিতীয় দফায় কলেজে ভর্তির সুযোগ দিয়েছে রাজ্য৷ কিন্তু, নতুন করে ভর্তির মেয়াদ বৃদ্ধি, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী নভেন্বর থেকে কীভাবে চালু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ? ধোঁয়াশা আগেই ছিল৷ ইউজিসির নির্দেশ মেনে নির্ধারিত নভেম্বরে আদৌ চালু হবে বাংলার কলেজের শিক্ষাবর্ষ? উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
ইউজিসির নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী নভেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ চালু করা সম্ভব? রবিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্ব সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোনও ভাবেই নভেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ চালু করা সম্ভব নয়৷ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে পারে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন৷
সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইউজিসির নির্দেশ আংশিকভাবে মেনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা ডিসেম্বর থেকে শুরু করা হবে৷ তবে, নভেম্বরে তা সম্ভব নয়৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গেলেও ভালোভাবে স্যানিটাইজ না করে ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের ডেকে ক্লাস করানো যাবে না৷ এবিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সার্বিক প্রস্তাব পাঠানো হবে৷ এরপর রাজ্য সরকার যথাসময়ে তা ঘোষণা করে দেবে৷
কিন্তু, কেন নভেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ চালু করা যাচ্ছে না? সূত্রের খবর, বৈঠকে ইউজিসির নির্দেশ মেনে নভেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ চালুর পক্ষে আলোচনা হলেও পুজোর ছুটির কথা মাথায় রেখে তা ডিসেম্বরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ পরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দুর্গাপুজো জাতীয় উৎসব৷ এরপর রয়েছে কালীপুজো৷ ছটপুজো থেকে শুরু করে রয়েছে পরপর একাধিক পরব৷ ফলে, নভেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু করা সম্ভব নয়৷ ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ক্লাস শুরু করতে কিছু দেরি হতে পারে৷ কেননা, ওই সময়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলপ্রকাশের কাজ চলবে৷ একই সঙ্গে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত চলবে স্নাতকস্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া৷ ফলে, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ক্লাস শুরু করতে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ লেগে যাবে৷
এদিনের বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ফাঁকা আসন পূরণে স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬০:৪০ অনুপাত পরিবর্তন করে ৮০:২০ করা হচ্ছে৷ ফলে, স্নাতকোত্তরের মোট আসনের ৮০ শতাংশে নিজেদের কলেজগুলি থেকে আসা পড়ুয়ারা স্নাতকস্তরের ভর্তির ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ পাবেন৷ বাকি ২০ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য৷