কথা রাখেননি শিক্ষামন্ত্রী! প্রতিবাদে বেতন বয়কটের ঘোষণা শিক্ষকদের

আজ বিকেল: ইনফ্রাসট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড ও এক্সট্রামার্কস এডুকেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামের এই দুই ঠিকাদার সংস্থার তত্ত্বাবধানেই দিনের পর দিন চলচে আর্থিক বঞ্চনা। সরকারও শত আবেদন নিবেদনে যখন পাশে এসে দাঁড়াল না, তখন নামমাত্র বেতন নিতে অস্বীকার করলেন রাজ্যের কম্পিউটার শিক্ষকরা। সাফ জানিয়ে দিলেন তাঁদের আর ভিক্ষের টাকা আর চাই না! পড়াবেন

কথা রাখেননি শিক্ষামন্ত্রী! প্রতিবাদে বেতন বয়কটের ঘোষণা শিক্ষকদের

আজ বিকেল: ইনফ্রাসট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড ও এক্সট্রামার্কস এডুকেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামের এই দুই ঠিকাদার সংস্থার তত্ত্বাবধানেই দিনের পর দিন চলচে আর্থিক বঞ্চনা। সরকারও শত আবেদন নিবেদনে যখন পাশে এসে দাঁড়াল না, তখন নামমাত্র বেতন নিতে অস্বীকার করলেন রাজ্যের কম্পিউটার শিক্ষকরা। সাফ জানিয়ে দিলেন তাঁদের আর ভিক্ষের টাকা আর চাই না! পড়াবেন তবে ভিক্ষের বেতন নেবেন না! এমনই দাবি করছেন রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়া ৬ হাজার ৫০০ কম্পিউটার শিক্ষক।

চার হাজার ৭০০ টাকা মাস গেলে গত ছবছর ধরে এই টাকাই পাচ্ছেন কম্পিউটার শিক্ষকরা। এনিয়ে আন্দোলন করেছেন, শিক্ষা মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ভোটের আগে জানিয়েছিলেন, পরে সমাধান করবেন। ভোট মিটেছে অনেক দিন হল, কম্পিউটার শিক্ষকদের দূরবস্থা সেই তিমিরেই আটকে থেকেছে। এই দাবি নিয়েই লোকসভা ভোটের আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছিলেন কম্পিউটার শিক্ষকদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল আইসিটি স্কুল কম্পিউটার টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। জানা গিয়েছে, তখন পার্থবাবু তাঁদের বেহালার ম্যান্টনে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেন, ভোট মিটে গেলে পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনায় বসবে রাজ্য সরকার। যদি সত্যিই কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে, তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি।

উল্লেখ্য, ওই দুই ঠিকাদার সংস্থাই কম্পিউটার শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ ও বেতনের দিকটা দেখভাল করে। রাজ্য সরকার সবটাই জানে, প্রচুর টাকা নাকি অনুদান হিসেবে বেতনে যোগ হয়, তবে হাতে এসে পড়ে ওই চার হাজার ৭০০ টাকা। ঠিকাদার কোম্পানি যে গরীব শিক্ষকদের বেতন লুট করছে তা স্পষ্ট, তারপরেও কোনও প্রতিকার হচ্ছে না। এক আন্দোলনরত শিক্ষক বলেছেন, “আমরা ঠিক করেছি, ওই টাকা চাই না। আমরা পড়াবো। কিন্তু বেতন নেব না। দেখি কতদিন রাজ্য সরকার চুপ করে থাকে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =