কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ৷ অনলাইনেই চলছে পঠন পাঠন৷ যার জেরে মাধ্যমিক, একাদশ ও উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে কাটছাঁট করা হয়েছে৷ এবার কমছে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির সিলেবাসও৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সুপারিশ মতো ৩০-৩৫ শতাংশ পাঠ্যক্রম কাটছাঁট করেছে রাজ্য সিলেবাস কমিটি৷ ইতিমধ্যে পর্ষদের কাছে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপেক্ষা পর্ষদের সবুজ সংকেতের৷ পর্ষদ সম্মতি জানালেই প্রথম থেকে নবম শ্রেণির নয়া পাঠ্যক্রমে ক্লাস শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন- NEET পরীক্ষা স্থগিতের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
তবে এতদিন পর কেন কমানো হল সিলেবাস? সেপ্টেম্বরে পাঠ্যক্রম কমিয়ে কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছেন, সাধারণ শিক্ষাবর্ষ মেনে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক মাস অনলাইনে কয়েক মাস ক্লাস হয়ে গিয়েছে। পাঠ্যক্রমের একাংশ পড়ানোও হয়ে গিয়েছে। শিক্ষাবর্ষ শেষ হতেও আর বেশি দেন বাকি নেই৷ তার আগে পাঠ্যক্রমে কাটছাঁটে করে কতটা লাভ হল? এমনও তো হতে পারে, পাঠ্যক্রমের যে অংশটুকু পড়ানো হয়ে গিয়েছে, সেই অংশ থেকেও কাঁটছাট হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে সিলেবাস কমিয়েও লাভ হবে না৷
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময় বাড়ল
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কাঁটছাট হয়েছে৷ সিলেবা কমেছে একাদশ ও দ্বাদশেও৷ এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণির সিলেবাসও কমিয়ে দেওয়া হল৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর পর স্কুল খোলা হবে৷ তবে সবটাই নির্ভর করছে কোভিড পরিস্থিতির উপরে৷ তাই স্কুল খোলার আগেই কমানো হল সিলেবাস৷