টানা দু’মাসের স্কুল ছুটির নির্দেশ, ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের নয়া প্রতিবাদ

আজ বিকেল: ফনির আতঙ্ক ও গরম সবমিলিযে স্কুলগুলিতে দুমাসের ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা দপ্তর। এই ঘটনা প্রকাশ্যেআসার পরই বিভিন্ন মহলের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষা-র ঐক্যমঞ্চের তরফেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় বহু শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী এমনকী শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ করেছেন। ঐক্যমঞ্চ বিষয়টির উপরে জোর দিতে নতুনভাবে আন্দোলন কর্মসূচি সাজাতে চাইছে। ইমেলের মাধ্যযমে সংগঠনের সদস্যরা প্রতিবাদ গড়ে তুলেন এমনটাই

টানা দু’মাসের স্কুল ছুটির নির্দেশ, ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের নয়া প্রতিবাদ

আজ বিকেল: ফনির আতঙ্ক ও গরম সবমিলিযে স্কুলগুলিতে দুমাসের ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা দপ্তর। এই ঘটনা প্রকাশ্যেআসার পরই বিভিন্ন মহলের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষা-র ঐক্যমঞ্চের তরফেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় বহু শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী এমনকী শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ করেছেন। ঐক্যমঞ্চ বিষয়টির উপরে জোর দিতে নতুনভাবে আন্দোলন কর্মসূচি সাজাতে চাইছে। ইমেলের মাধ্যযমে সংগঠনের সদস্যরা প্রতিবাদ গড়ে তুলেন এমনটাই চাইছেন নেতৃত্বরা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।

সংগঠনের এবিষয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাকে এককথায় কর্মসূচি বলা যেতে পারে। শুরুতেই 
রাজ্যগত ভাবে শিক্ষামন্ত্রী / শিক্ষা দপ্তরের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে দাবি পত্র পাঠানো হবে। জেলাগত ভাবেও সংশ্লিষ্ট ডি আই দের উদ্দেশ্যে একই ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে দাবি পত্র পাঠানো হবে। সারা রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের কাছে আহ্বান করা হচ্ছে যাতে তাঁরাও নিম্নলিখিত বা অনুরূপ বক্তব্য mail করে তাঁদের প্রতিবাদ সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা দপ্তরের কাছে পৌঁছে দেন।  শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বেশকিছু পদক্ষেপ নিতেই হবে। সেজন্য ঐক্যমঞ্চ এর আবেদন স্কুলগুলোতে সামার ক্যাম্প চালু হোক। যদি সামার ক্যাম্প চালু করা যায় তাহল,  এটি ঐক্যমঞ্চের তরফে সমষ্টিগত উদ্যোগ হবে, স্কুল বাড়ি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া ছাড়া মাননীয় প্রধানশিক্ষকদের অন্য কোনও দায় নেই। বিষয়টি সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ মূলক হওয়ায় ইচ্ছুক অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের নিশ্চয়ই পাঠাতে পারবেন। A স্কুলের ছাত্র বা শিক্ষকের B স্কুলের ক্যাম্পে যোগদানে বাধা নেই। নির্দিষ্ট ক্যাম্পের সংগঠকরা নিজেদের মতো করে ক্যাম্পের কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারবেন। 
ঝড়ের পূর্বাভাসের ফলে ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্তকে নিশ্চয়ই সমর্থন করলেও শিক্ষা দপ্তর থেকে ২ মে, এবং ৩ রা মে, ২০১৯, যে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে তা এককথায় নজিরবিহীন। এই পরিস্থিতিতে একটানা প্রায় ২ মাস বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার উপর বিরাট আঘাত। এই খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত সারা রাজ্যের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিরক্তি তৈরি হবে। এই সার্কুলার যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার অধিকার আইনকে লংঘন করে তেমনি বিরাট অংশের প্রান্তিক পরিবারের ছেলেমেয়েদের মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত করবে। এছাড়া অন্যান্য শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা যারা আগামীতে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন অহরহ তুঘলকী সিদ্ধান্তের ফলে অভিভাবকদের মধ্যে যাঁরা পারবেন বাধ্য হয়ে তাঁদের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ের পরিবর্তে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করবেন। অতি সাধারণ বাড়ির সন্তানরা মেধা থাকলেও প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
এই ঘটনার দায় একটা সময় শিক্ষকদের উপরেই বর্তাবে। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বশীল শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষানুরাগীবৃন্দ শিক্ষা দপ্তরের এই খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত ও আচরণ কোনওভাবেই মেনে নিতে পারে না। তারই প্রতিবাদে এই ইমেলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদীরা এই partha_hrm@yahoo.co.in wbssed@gmail.com pstosecysed@gmail.com ইমেল আইডিগুলিতে নিজেদের অভাব অভিযোগ ও প্রতিবাদ জানাতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − four =