নয়াদিল্লি: ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা বিজ্ঞানী আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালামের জন্ম হয়েছিল ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর৷ আজ দেশের একাদশ তম রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী৷ প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির জন্মদিনে আজ বিকেলের তরফ থেকে রইল শ্রদ্ধার্ঘ্য৷ তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন আবদুল কালাম৷ তাঁর শৈশব কেটেছিল দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে৷ নিজের পরিবারকে বাঁচাতে ও নিজের পড়াশোর জন্য টাকা জোগার করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবরের কাগজ বিক্রি করতেন তিনি৷ চোখে ছিল বড় হওয়ার স্বপ্ন৷ আর মনে ছিল অদম্য ইচ্ছা৷ যা দিয়ে সফলতার শিখরে পৌঁছেছিলেন তিনি৷ ১৯৯৭ সালে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারত রত্নে ভূষিত করা হয় তাঁকে৷
ভারতের এই মিশাইল ম্যানের জন্মদিনে রইল তার ১০ টি কৃতিত্বের কথা:
১) ডঃ এ পি জে আবদুল কালাম পোখরানে একাধিক পারমাণবিক পরীক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে ডঃ কালাম পোখরান -২ পারমাণবিক পরীক্ষার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন৷
২)১৯৯৯ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর নাগাদ ডক্টর কালামের তত্ত্বাবধানে পারমাণবিক পরীক্ষা চলাকালীন পারমাণবিক শক্তি পায় ভারত৷
৩)ডঃ এপিজে আবদুল কালাম ভারতের দুটি বড় বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা – প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) নেতৃত্বে ছিলেন৷
৪)ডাঃ কালামকে মিসাইল ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথিবী’ এর উন্নয়ন ও পরিচালনায় অগ্রণী কাজ করার কৃতিত্ব দেওয়া হয়৷
৫)মিসাইল ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথিবী’র এই কাজের জন্য দেশের ‘মিসাইল ম্যান’ নামে পরিচিত হন এ পি জে আবদুল কালাম৷
৬)ডঃ কালাম ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের (এসএলভি) বিকাশের প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন৷
৭)ডাঃ কালাম ইসরোতে স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের উন্নয়নের জন্য প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছিলেন৷
৮)১৯৮০ সালের জুলাইয়ে, ডাঃ এপিজে আবদুল কালামের পরিচালনায় এসএলভি-৩ রোহিণী স্যাটালাইটকে সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছিল
৯)ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির উন্নয়নের জন্য প্রকল্পগুলির পরিচালনা করেছিলেন ডঃ কালাম। তিনি সফল এসএলভি প্রোগ্রামের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির বিকাশের জন্য ডেভিল এবং ভ্যালেন্ট প্রকল্পগুলির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
১০)দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতেও কালামের অবদান অনস্বীকার্য৷ স্বাস্থ্যসেবা সবার কাছে সহজলভ্য করার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন৷ ডাঃ কালাম কার্ডিওলজিস্ট সোমা রাজুর সাথে কাজ করেছিলেন এবং স্বল্প দামে ‘কালাম-রাজু স্টেন্ট’ গড়ে তুলেছিলেন৷
২০১৫ সালের ২৭ জুলাই শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে বক্তৃতা বলা কালীন প্রয়াত হন এ পি জে আবদুল কালাম৷