কোচবিহার: মিড-ডে মিল নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। চলতি সপ্তাহেই মিড-ডে মিলের টাকায় কেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে, তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। এমনকী, পড়ুয়াদের চালের পাশাপাশি আলুর জন্য বরাদ্দ অর্থও বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে কম বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার বহু স্কুল খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠল। কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকে মিড-ডে মিল নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। যদিও ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে এসআই এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে চাল, আলু, ডাল বিলি করতে হবে পড়ুয়াদের মধ্যে। সেই নির্ধারিত দিন পেরোলেও এখনও বহু স্কুলে পৌঁছায়নি খাদ্য সামগ্রী, এমনই অভিযোগ করছেন দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের শিক্ষকরা। তাঁরা জানান, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের (বিডিও) তরফে তাঁদের জানানো হয়েছিল, সকাল ৮টা নাগাদ খাদ্যসামগ্রী স্কুলে পৌঁছবে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলেও দেখা মেলেনি খাদ্যসামগ্রীর গাড়ি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু তখনও খাদ্যসামগ্রী না পৌঁছনোও বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এদিকে সূত্রের খবর, মিড-ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী স্কুলে পৌঁছনোর কাজ শেষ। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সহকারি জেলাশাসককে এমনই জানিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এমনকী, সূত্রের দাবি, বিডিও অভিযোগ করেছেন, এসআই এবং শিক্ষকরা তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। কোভিড ১৯ ভাইরাসের এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে বহু দুঃস্থ পড়ুয়ার কথা ভেবে মিড-ডে মিল নিয়ে এই চূড়ান্ত অব্যবস্থায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।
এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে বহু স্কুল, এমনটাই দাবি করেছেন শিক্ষকরা। কিছু স্কুলে চাল পাঠানো হলেও, পাঠানো হয়নি আলু। আবার কোনও কোনও স্কুলে চালও পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের কথায়, ‘মিড-ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী বিলি করতে না পারায় অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ কথা শোনাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকদের। এই পরিস্থিতিতে আমরা, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের সমস্ত শিক্ষক ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের ওপর অসন্তুষ্ট।’