মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ডিপার্টমেন্ট থেকেই ফাঁস হয়, ইন্টারনেট বন্ধ করে কী হবে, কটাক্ষ দিলীপের

মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ডিপার্টমেন্ট থেকেই ফাঁস হয়, ইন্টারনেট বন্ধ করে কী হবে, কটাক্ষ দিলীপের

কলকাতা: আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসেছে ১১.২৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী৷ পরীক্ষা শুরুর আগেই মাধ্যমিক  সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে একাধিক জেলার পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলে হয়েছে, পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্পর্ষকারত এলাকায় পরীক্ষাকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে৷ পর্ষদের এই ঘোষণার পরেই তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সিস্টেম’কে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, এসব করতে হয়।

আরও পড়ুন- আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক, স্পর্শকাতর এলাকায় বিশেষ পদক্ষেপ পর্ষদের

কটাক্ষ করে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, এভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে মানুষকে বিড়ম্বনা বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না৷  প্রতি বছরেই মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়৷ নকলনবিশির অভিযোগও কম নয়। সেই দিকগুলি বিচার করেই একাধিক জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা করা হয়৷ সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “সারা দেশে এত পরীক্ষা হয়, কোথাও কেউ ইন্টারনেট বন্ধ রাখে না। যারা সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তারাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ এসব করে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলা হচ্ছে। এক কোনও অর্থই হয় না।” তিনি আরও বলেন, এভাবে এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে একাধিক জরুরি পরিষেবা ব্যাহত করা হচ্ছে৷

দিলীপের কথায়, “ইন্টারনেট পরিষেবার বন্ধ থাকার জন্য ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। যেখানে সমস্যা সেখানে গিয়ে সমাধান করতে হবে৷ কিছু এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। আমার তো মনে হয় ডিপার্টমেন্ট থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। সেখানে টাকাপয়সা দিলেই সবকিছু পাওয়া যায়। জমির রেকর্ডও এভাবে হয়ে যাচ্ছে। সরকারি দফতরগুলি দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। সুতরাং প্রশ্নপত্র যেখান থেকে ফাঁস হচ্ছে, সেখানে ব্যবস্থা না নিয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনও মানে হয় না৷”