পাশ করেও চাকরির হাহাকার বাংলার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের

আজ বিকেল: চাকরির বাজার নিয়ে যখন গোটা দেশ উদ্বিগ্ন তখন ভাল চাকুরের সংখ্যাও কম পড়ছে। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে ভাল নম্বর পেয়ে পাশ করেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা চাকরি পাচ্ছেন না। বিষয়টি আগামীর জন্য যেমন উদ্বেগজনক তেমনই ভাবাচ্ছে পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও। কিন্তু কেন এই অবস্থা? তথ্য বলছে সরকারি সরকার স্বীকৃত এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর আসন সংখ্যা

11486e374b2c7964aed7d3570ec389df

পাশ করেও চাকরির হাহাকার বাংলার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের

আজ বিকেল: চাকরির বাজার নিয়ে যখন গোটা দেশ উদ্বিগ্ন তখন ভাল চাকুরের সংখ্যাও কম পড়ছে। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে ভাল নম্বর পেয়ে পাশ করেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা চাকরি পাচ্ছেন না। বিষয়টি আগামীর জন্য যেমন উদ্বেগজনক তেমনই ভাবাচ্ছে পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও। কিন্তু কেন এই অবস্থা?

তথ্য বলছে সরকারি সরকার স্বীকৃত এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর আসন সংখ্যা প্রতিবছর পূরণ ই হচ্ছে না। শুধু তাই নয় যারা কোর্স শেষ করে বেরোচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগই কোথাও চাকরি পাচ্ছেন না। কলেজের প্লেসমেন্ট সেলও কিছু করে উঠতে পারছে না। মজার বিষয় হল উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের শিক্ষা গত জ্ঞান নিয়োগকর্তাদের মনঃপুত হচ্ছে না তাই ইন্টারভিউ দিয়েই দরজা থেকে ফিরতে হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের। যোগ্য প্রার্থীদের খোঁজে থাকা সংস্থার দাবি প্রয়োজন মাফিক প্রার্থী মিলছে না তাই শূন্যপদ থাকলেও সবাইকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কলেজ পড়ুয়াদের যা শেখাচ্ছে তা দিয়ে ভাল ইনিজিনিয়ার হয় না। একজন আর চাকরিতে যোগ দেবার পর কর্মচারীকে শিখিয়ে পড়িয়ে তৈরি করার দিকে যেতে নারাজ সংস্থা। তাই ভাল নম্বর পেলেও চাকরির দৌড়ে পিছিয়ে থাকার তালিকাটা দীর্ঘ।

এনিয়ে পরিসংখ্যান রিপোর্ট দেখলে চোখ কপালে উঠবে। স্নাতকস্তরে ২০১৭-১৮ সালে মোট আসন ছিল ৩৫,৯৬৩টি। এর মধ্যে সরকার পোষিত, সরকারি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত সরকারি, বেসরকারি পোষিত এবং বেসরকারি কলেজ রয়েছে। ভর্তি হয়েছেন ২১ হাজার ১৪৬ জন। ফলে ১৪ হাজারের মতো খালি পড়েছিল আসন। এদিকে ওই বছর, অর্থাৎ ২০১৭-১৮ সালে, পাশ করা পড়ুয়াদের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন ১১,০৩১ জন। এই পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছিলেন ২০১৩-১৪ সালে। সেই বছর মোট আসন ৩৫,০২৩টি থাকলেও ভর্তি হয়েছিলেন ২৪,১৭৭ জন পড়ুয়া। তার মধ্যে ১১,০৩১ জন চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ, প্রায় ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া চাকরি পেয়েছেন। আবার যদি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মেলানো যায়, তাহলে আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৭৩২টি। ভর্তি হয়েছেন ২২ হাজার ৬৪৬জন। কিন্তু চাকরি পেয়েছেন ১১ হাজার ৫০৭ জন। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে দেখা গিয়েছে, ৩৭,৫০৩টি আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছিলেন ২৩,৩০৫ জন।

কিন্তু চাকরি পেয়েছিলেন ১২,১২৪ জন। বাংলার চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে গুজরাত। সেখানে ৬৭,৪৪২টি আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছিলেন ৩২,৭৫৪ জন। কিন্তু তার মধ্যে থেকে চাকরি পেয়েছেন কেবলমাত্র ৯৩৭৯ জন। রাজস্থানের হালও একই। চাকরি পেয়েছেন ৮৩৪৩ জন। এই রাজ্যে ২০১৭-১৮ সালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৬,৫৬৪ জন। আসনের বিচারে অবশ্য ঢের এগিয়ে মহারাষ্ট্র। সেখানে দেড় লক্ষের বেশি আসন। ভর্তির সংখ্যা ৯০ হাজারের একুট বেশি। কিন্তু তার মধ্যে ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীও চাকরি পাননি। তথ্য বলছে, ওই রাজ্যে ৩৬ হাজার ৩৬১ জন প্লেসমেন্ট পেয়েছেন। কর্ণাটকে ৬৬ হাজার ৭০৮ জনের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৬৬ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *