পুলিশ-কাকুর স্কুলে জীবন গড়ছে রাজধানীর ‘গরিব’ ভবিষ্যৎ

পুলিশ-কাকুর স্কুলে জীবন গড়ছে রাজধানীর ‘গরিব’ ভবিষ্যৎ

 

নয়াদিল্লি: স্মার্ট ফোন নেই৷ কোনও অসুবিধা নেই৷ যে সব দরিদ্র-দুঃস্থ পড়ুয়াদের স্মার্ট ফোন না থাকার জন্য তা অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারছে না তাদের পাশে দাঁড়ালেন দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল থান সিং৷ নিজেই উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের কাজের মধ্যে সময় বার করে ছোট ছোট দরিদ্র পড়ুয়াদের পড়াশোনা করান তিনি৷ যাদের অনলাইন ক্লাস করার সামর্থ্য নেই তাদেরকে নিয়েই ক্লাস করান থান সিং৷

দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত থান সিং৷ রেড ফোর্ট পার্কিং-এর সাই মন্দিরের পাশেই এই অসহায় শিশুদেরকে নিয়মিত পড়ান তিনি৷ করোনা অতিমারের ফলে লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ হয়েছিল৷ তখন অনলাইনেই চলত ক্লাস৷ তবে য় সব পড়িুয়ারা স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ জোগার করতে সমর্থ্য নয় তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিং৷

থান সিং জানিয়েছেন, পুলিশে তার কাজের পাশাপাশি একটি স্কুলও চালাতেন তিনি৷ কিন্তু করোনার প্রকোপের কারণে স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখেন তিনি৷ কিন্তু যখন তিনি দেখেন অনেক এমন পড়ুয়া রয়েছে যাদের কাছে স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ নেই৷ তখন তাদের পাশে দাঁড়ান থান সিং৷ সেসব অসহায় শিশুদের নিয়ে তিনি শুরু করে পড়ানো৷ যাদেরকে থান সিং পড়ান তাদের বেশিরভাগ শিশুই আশেপাশে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ছেলেমেয়ে৷ সামাজীক দুরত্ব মেনেই তাদের নিয়মিত ক্লাস করাচ্ছেন থান সিং৷ এমনই ওই কনস্টেবল জানিয়েছেন, শিশুদের স্যানিটাইজার দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে৷ এছাড়াও মাস্কও দেওয়া হয়েছে শিশুদের৷

বেশ কিছুদিন আগে এই একই অবতারে দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরুর এক পুলিশ সুপারকে৷ শান্থাপ্পা নামে ওই পুলিশ সুপারও পরিযায়ী শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের পড়াতে শুরু করেন৷ এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর প্রচুর প্রশংসা কোড়ান তিনি৷ প্রতিদিন কাজে যাওয়ার আগে প্রায় ৩০ জন পড়ুয়াকে ক্লাস করিয়ে তারপর নিজের কাজে যোগ দেন শান্থাপ্পা৷ এবার এরকমই আরেক মহানুভবতার পরিচয় দিলেন দিল্লির থান সিং৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =