আচার্যকে এড়িয়ে সমাবর্তনের সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি’, চ্যালেঞ্জ রাজ্যপালের

কলকাতা: আচার্য তথা রাজ্যপালকে এড়িয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান! আচার্য ছাড়া সমাবর্তন বেআইনি৷ সোমবার কোর্টের বৈঠকের আগে উপাচার্যকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তরকে চ্যালেঞ্জা জানালেন খোদ রাজ্যপাল৷ কোর্টের বৈঠকে রাজ্যপাল অংশ নেবেন বলেও সাফ জানানো হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ চিঠিতে অচার্য সাফ জানিয়েছেন, সমাবর্তন নিয়ে

আচার্যকে এড়িয়ে সমাবর্তনের সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি’, চ্যালেঞ্জ রাজ্যপালের

কলকাতা: আচার্য তথা রাজ্যপালকে এড়িয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান! আচার্য ছাড়া সমাবর্তন বেআইনি৷ সোমবার কোর্টের বৈঠকের আগে উপাচার্যকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তরকে চ্যালেঞ্জা জানালেন খোদ রাজ্যপাল৷ কোর্টের বৈঠকে রাজ্যপাল অংশ নেবেন বলেও সাফ জানানো হয়েছে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ চিঠিতে অচার্য সাফ জানিয়েছেন, সমাবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বেআইনি৷ আচার্যকে এড়িয়ে কোর্টের বৈঠক ও সমাবর্তন হতে পারে না৷ তা নিয়ে আচার্য হিসাবে উপার্যকে চিঠি রাজভবনের৷

জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুর দুটোয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে বৈঠক ডেকেছে সেই কোর্ট বৈঠকে পুরোহিত্য করবেন রাজ্যপাল৷ রাজ্যপাল চিঠি লিখেছেন, সমাবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বেআইনি৷ ফলে, তিনি চান সোমবার কর্মসমিতির ডাকা বৈঠকে তিনি অংশ নিয়ে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করবেন৷

সমাবর্তন ইস্যুতে তিনি যে উদ্বিগ্ন, তা আজ টুইট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ সাফ জানিয়েছিলেন, আচার্য ও উপাচার্যর যোগাযোগ থাকে সচিবালয়ের মাধ্যমে৷ কিন্তু সেখানে বাধা তৈরি হয়েছে৷ আচার্যের সঙ্গে কোনও কথোপকথন হচ্ছে না৷ এটা অসংবিধানিক৷ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যত জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ আচার্যের অনুমতি না নিয়ে কী করে এমন সিদ্ধান্ত নিল কর্মসমিতি? এটা হতে পারে না৷’’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার সংবাদমাধ্যমে নিজের অবস্থান নির্দিষ্ট করেন রাজ্যপাল৷ জানান, আচার্যের অনুমতি না নিয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কর্মসমিতি৷ রাজনৈতিক চাপেই উপাচার্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল৷

কিন্তু, হঠাৎ কী নিয়ে এত সমস্যা? জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’ধরণের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়৷ স্পেশ্যাল সমাবর্তন ও বার্ষিক সমাবর্তন৷ বিশেষ সমাবর্তনে দেওয়া হয় ডি’লিট থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি৷ ডিগ্রি প্রাপকদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়ে থাকেন আচার্য৷ পড়ুয়াদের শংসাপত্র দেওয়া হয় বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে৷ আগামী মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান রয়েছে৷ কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়, পড়ুয়াদের আপত্তির কারণে আচার্যকে এড়িয়ে সমার্তন করা হবে৷ এই মর্মে রাজভবনে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়৷ এরপরই আজ পাল্টা চিঠি দিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন আচার্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − 3 =