একই দিনে পড়ল CU আর JNU-র পরীক্ষা, বিপাকে পরীক্ষার্থীরা

একই দিনে পড়ল CU আর JNU-র পরীক্ষা, বিপাকে পরীক্ষার্থীরা

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে কলেজের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা হবে কিনা, তা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে৷ মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত৷ অবশেষে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়েছে৷ আইনি লড়াই শেষে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও, তাতেও বাধল বিপত্তি৷ একই সঙ্গে পড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে কলা এবং বিজ্ঞান শাখার ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষা আর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার দিন৷ 

আরও পড়ুন- নেওয়া যাবে না ছুটি, সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস বাধ্যতামূলক! নয়া নির্দেশিকা  UGC-র

অক্টোবরের ৫, ৭ এবং ৮ তারিখ রয়েছে জেএনইউ-র প্রবেশিকা পরীক্ষা৷ ওই দিনে পরীক্ষা রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ এবং বিএসসি শাখারও৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃত, অঙ্ক, রসায়নের বেশ কিছু পড়ুয়া রয়েছেন, যাঁরা আগামী দিনে জেএনইউ-থেকে তাঁদের মাস্টার ডিগ্রি করতে চান৷ সে সকল পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়েছেন৷ অন্যদিকে, বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষা আর জেএনইউ-র প্রবেশিকা পরীক্ষাও একই দিনে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ একই দিনে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করার পরই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে দেখা করেন পড়ুয়ারা৷ 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা রয়েছে ৫, ৭ এবং ৮ তারিখ৷ পরীক্ষা হবে ২টো পর্যন্ত৷ একই দিনে রয়েছে জেএনইউ-র প্রবেশিকা৷ জেএনইউ-র পরীক্ষা শুরু হবে ৩টে থেকে৷ এর এক ঘণ্টা আগে রিপোর্ট করতে হবে আমাদের৷ ফলে দুপুর ২টোয় সিইউ-র পরীক্ষা শেষ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব৷’’ বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা করে তাই আগামী বছর জেএনইউ-র প্রবেশিকা দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে সাগ্নিক৷  

আরও পড়ুন- কবে, কীভাবে খুলবে স্কুল? নয়া পরিকল্পনা বিকাশ ভবনের: সূত্র

পরীক্ষার্থীদের আবেদন সত্ত্বেও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি৷ আশুতোষ কলেজের মাস-কমিউনিকেশনের সাম্মানিক ছাত্র সায়ন দাসের কথায়, ‘‘নিশ্চিতভাবেই আমরা ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা বাদ দিতে পারব না৷ তবে আমাদের ভবিষ্যতকে বাজি রাখতে হবে৷’’ অক্টোবরের ৮ তারিখ জেএনইউ-তে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার ডিগ্রির প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল তাঁর৷ এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও উত্তর মেলেনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − six =