কলকাতা: করোনায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব৷ বাড়ছে সংক্রমণ৷ করোনা রুখতে দীর্ঘ লকডাউন আবহে বেসামাল হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কীভাবে পড়ুয়াদের মনে করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানো যায় তা নিশ্চিত করতে এবার সিলেবাসে নয়া সংযোজন আনতে চলেছে রাজ্য৷
করোনা আবহে বদলে যেতে চলেছে স্কুল শিক্ষার সিলেবাস৷ স্কুলপাঠ্যে ঢুকে যাচ্ছে করোনা বিধি৷ করোনা উপসর্গ থেকে শুরু করে, সুরক্ষা বিধি নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করোনাকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনা শুরু হয়েছে বলে খবর৷
স্কুল সিলেবাস কমিটি সূত্রে খবর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সিলেবাস কমিটির আলোচনা করেছে৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে করোনা সতর্কতাকে স্কুলপাঠ্যে আনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসের বাইয়ের শেষদিকে কিছু পাতাযুক্ত করা হবে৷ সেখানে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে কীভাবে লড়াই করা যায়, এই রোগের উপসর্গ কী, টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হলে বা না হলে, এর কী প্রভাব পড়বে, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিষয়টি কার্যকর হতে পারে বলে সূত্রের খবর৷
যদিও চলতি শিক্ষাবর্ষে তা অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না৷ কারণ, করোনা কোপে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা এখন টালমাটাল৷ জুলাই মাস পর্যন্ত স্কুল বন্ধ স্কুল৷ এই সময়ে দাঁড়িয়ে নতুন করে বই ছাপানোর সুযোগ নেই৷ ফলে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, কীভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, তার উপসর্গ কী, কীভাবে তা রোখা যায়? মানবদেহের কীভাবে প্রভাব ফেলে? এই রোগ থেকে কীভাবে দূরে থাকা যায়, তা নিয়েও বিস্তারিতভাবে সচেতনতামূলক পাঠ দেওয়া হবে পড়ুয়াদের৷
সাধারণত, স্কুলপাঠ্যে সিলেবাস তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মতামত নেওয়া হয়৷ শিক্ষকরাও সিলেবাস লেখেন৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও সচেতনতা বিষয়টি মাথায় রেখে এবার চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে নতুন সিলেবাসের তৈরি করার ভাবনা শুরু হয়েছে৷ চিকিৎসকদের মতামত লেখা হবে নতুন পাঠ্যসূচিতে৷ প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে করোনা এখন পঠ্য হয়ে উঠতে চলেছে বলে খবর৷