মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে বিতর্ক: অধ্যাপক কনকে বহিষ্কারের সুপারিশ

কলকাতা: মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করা অধ্যাপকে বহিষ্কারের সুপারিশ৷ ক্লাস নিতে পারবেন না অভিযুক্ত অধ্যাপক কনক সরকার৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তরফে এই সুপারিশ উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ একই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিরও সুপারিশ করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত অধ্যাপক পড়ানোর যোগ্য নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দার পর অধ্যাপকের বিরুদ্ধে

মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে বিতর্ক: অধ্যাপক কনকে বহিষ্কারের সুপারিশ

কলকাতা: মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করা অধ্যাপকে বহিষ্কারের সুপারিশ৷ ক্লাস নিতে পারবেন না অভিযুক্ত অধ্যাপক কনক সরকার৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তরফে এই সুপারিশ উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ একই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিরও সুপারিশ করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত অধ্যাপক পড়ানোর যোগ্য নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দার পর অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সংবাদসংস্থাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, ‘‘আইন অনুযায়ী আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷” এর পরই আজ বিভাগীয় তদন্তের পর কনক সরকারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷

অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে রাজ্য সরকার৷ বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়ে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে৷ যদিও, অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক শাসকদলের সমর্থক বলে নিজে দাবি করেন৷ তবে, তৃণমূল সমর্থকের এই ধরণের মন্তব্য দল কোনও ভাবেই অনুমোদন দেয় না বলেই সাফ জনিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

অন্যদিকে, অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পথে নামে যুদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত অধ্যাপক কনক সরকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া ও ক্লাস বয়কটের দাবি জানিয়ে সোমবার ক্যাম্পাসের মধ্যে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা৷ যদিও, ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক৷ কিন্তু, হঠাৎ কী নিয়ে এত বিতর্ক?

মহিলারা সতীত্ব হারালে খোলা বিস্কুটের প্যাকেট বা ছিপিহীন কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতলের মতো! ফেসবুকে এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কনক সরকার৷ কনকের ব্যাখ্যা, সামাজিক মূল্যবোধ বোঝাতে গিয়ে তিনি এমন সব কথা লিখেছেন৷ আর কেবল নারী নয়, পুরুষের ক্ষেত্রেও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এক বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষকের দাবি৷

যদিও তাঁর ফেসবুক পোস্টগুলির অধিকাংশই মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে৷ বিয়ের আগে কোনও মহিলার শারীরিক সম্পর্ক করা কতদূর অবাঞ্ছিত ও যিনি তা করবেন না, স্ত্রী হিসেবে তিনি ‘দেবদূত’ বলে মনে করেন ওই শিক্ষক৷ সুপ্রিম কোর্টের রায় ঢাল করে নিজের এই সব বক্তব্যকে বাক্‌স্বাধীনতার মোড়ক দিয়েছেন তিনি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ সবের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − seven =