কলকাতা: আজ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবের কাছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের অনলাইনে আপলোড করবার নির্ধারিত সময়সীমা বরাদ্দ রাখার দাবি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিকে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের জেলা ভিত্তিক মেধা তালিকায় নাম নথিভুক্তের জন্য আপলোড করবার সময়সীমা ছিল গতকাল থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু গতকাল এক নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব জানিয়েছেন গত ১০ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ৮০% আপলোড হয়ে গিয়েছে এবং তিনি বাকিদের জন্য কেবলমাত্র আজকের দিনটা ধার্য করা হয়েছে।
এক প্রেস বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা সরকার বলেন, সাতদিনের বদলে মাত্র একদিনের মধ্যে কোন প্রার্থী যদি তার নাম নথিভুক্ত করতে না পারে তাহলে সে বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যাবে। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। তিনি পূর্বের বরাদ্দকৃত সময় সীমা বহাল রাখবার দাবি করেন। সেই সঙ্গে তিনি অবিলম্বে স্কুলে পঠন-পাঠন চালু, শিক্ষক নিয়োগের আগে বদলি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবার দাবিতে আগামীকাল বিকাশভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বাসুর কাছে সমিতির ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচির কথাও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- দুষ্কৃতীদের হাতে খুন তৃণমূল নেতা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ-অবরোধ মঙ্গলকোটে
উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছিলেন যে, পুজোর আগেই প্রাথমিকে ১০ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হবে এবং আপার প্রাইমারিতে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। যার অর্থ পুজোর মধ্যেই সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী দুর্গা পুজোর পরে আরও ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে মমতা স্পষ্ট করে দেন, মেধার ভিত্তিতে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, মেধাই হবে একমাত্র পরিচয়। যদিও নিয়োগ নিয়ে এখনও বেশ জটিলতা রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ রয়েছে নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে।