কলকাতা: দ্বিতীয় পর্যায়ে জারি হয়েছে লকডাউন। একাধিক নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একগুচ্ছ ঘোষণা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই স্কুল, কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, 'মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গেছে। খাতা দেখা হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা বাকি আছে। সেই পরীক্ষাগুলো জুন মাসে হবে।' একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাশ করানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রগুলি ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে মিডডে মিল ও অঙ্গনওয়ারির খাবার যেভাবে আগে দেওয়া হয়েছে সেভাবেই দেওয়া হবে। ২০ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাওয়া যাবে।'
করোনা পরিস্থিতি রুখতে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝান তিনি। শাড়ির আঁচলকেও যে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তা হাতেকলমেও দেখিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রাখার নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে ১৮টি সংস্থা খুলতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, সমস্ত কর্মীদের কথা ভেবে এটা করা ঠিক হবে না।'
১৮টি সংস্থা খোলার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, 'আমাদের মনে রাখতে হবে, এসব করতে গিয়ে আমরা যেন হটস্পটকে হটহট করে না দিই।' এছাড়াও 'যেখানে সুযোগ রয়েছে, সেখানে স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে সেচ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, বাড়ি নির্মাণ, পিএইচই-র কাজ করা যেতে পারে। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ১০০ দিনের কর্মীদেরও যাতে কাজে লাগানো যায়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা', এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু ১৮টি সংস্থার কাজ না চালিয়ে ১৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সমস্ত প্রোটোকল মেনে সবগুলোই চলুক, বলেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের বাইরে আটকে থাকা অসংগঠিত কর্মী এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে গিয়ে অন্য রাজ্যে আটকে থাকা মানুষের জন্য সাহায্য করবে গরিবের সরকার, এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। নিজের আবাসনেই ঢুকতে পারছেন না তাঁরা। বেশ কিছু জায়গায় এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'এগুলো দয়া করে করবেন না। মনে রাখবেন, বিপদে পড়লে কিন্তু ওঁরাই বাঁচাবে আপনাদের।'